মোদি সরকারের (Modi Government) আরও একটা জুমলা ফাঁস হয়ে গেল। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যই বলছে, বিগত ১৪ বছরের বাংলা এসেছে দ্বিগুণ কোম্পানি। এই তথ্য বিজেপির (BJP) জন্য হজম করা কষ্টকর হলেও, এটাই সত্যি! সংসদে রিপোর্ট পেশ হতেই স্পষ্ট হয়ে গেল, বছরের পর বছর ধরে বিজেপি শুধু একপাক্ষিক কুৎসা রটিয়ে গিয়েছে। আর বলে এসেছে বাংলা শিল্পবিরোধী। কিন্তু এখন তাদেরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তথ্য সেই সকল মিথ্যেকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।
সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের (Modi Government) কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে সাংসদ বাপি হালদার প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন। সেই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক তথ্য সহযোগে জানিয়েছে, ২০১১ সালে বাংলায় নিবন্ধিত কোম্পানির অফিসের সংখ্যা ছিল ১,৩৭,১৫৬। ২০২৫-এ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৫০,৩৪৩। অর্থাৎ বাংলায় দ্বিগুণ কোম্পানি এসেছে বিগত ১৪ বছরে। ২০২৫ এর ৩১ জুলাই পর্যন্ত গত ৬ বছরে বাংলায় নতুনভাবে নিবন্ধিত হয়েছে ৪৪,০৪০টি কোম্পানি। আর এই সময়ে মাত্র ১,৭৪২টি কোম্পানি তাদের নিবন্ধিত অফিস রাজ্যের বাইরে সরিয়েছে। তাহলে আপনারা যে এতদিন বলে আসছিলেন বাংলা শিল্পবিরোধী! আপনাদের রিপোর্টিং আপনাদের মিথ্যাচার প্রকাশ করে দিয়েছে, ফাঁসিয়ে দিয়েছে মিথ্যার ভাণ্ড।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বাংলাতে শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলায় বয়ে চলেছে উন্নয়নের জোয়ার। বাংলা শিল্পে চালু হয়েছে এক জানালা নীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি। তাই তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কুৎসা রটাচ্ছে। অর্ধসত্য আর ভুয়ো প্রচার করে যাচ্ছে। কিন্তু সেই কুৎসা, অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মুখোশ খসে পড়ল এক রিপোর্টেই।
উল্লেখ্য, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে সাংসদ বাপি হালদারের প্রশ্ন ছিল,
১) গত পনেরো বছরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কতগুলি কোম্পানির নিবন্ধিত অফিস ছিল তার বছরভিত্তিক বিবরণ
২) গত পাঁচ আর্থিক বছরে বছরভিত্তিক কতগুলি কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের নিবন্ধিত অফিস স্থানান্তর করেছে অথবা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নতুন করে অফিস নিবন্ধন করেছে তার বিবরণ। কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা তথ্য সহযোগে তার তুলে ধরতেই প্রকাশ হয়ে গেল বাংলা শিল্পবিরোধী নয়, বাংলা শিল্পবান্ধব। এতদিন সংকীর্ণ রাজনীতির জন্য বিজেপি মিথ্যাচার করে গিয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট দেখাচ্ছে বাংলা শিল্পে অগ্রগণ্য।
–
–
–
–
–
–