বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পকে উৎসাহিত করতেই রাজ্যের সমস্ত সিনেমা হল ও মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে বাংলা ছবির দৈনন্দিন প্রদর্শনী বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবার থেকে মাল্টিপ্লেক্সে একটি স্ক্রিন সেখানে ৩৬৫টি , যেখানে দুটি স্ক্রিন সেখানে ৩৬৫x২ অর্থাৎ ৭৩০টি শো চলবে বছরে। তিনটে স্ক্রিন হলে ১০৯৫ এবং চারটে স্ক্রিন থাকলে সেখানে বছরে ১৪৬০টি বাংলা শো চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি টলিউড। এদিন SVF-এর কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা বলেন, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এর ফলে বাংলা সিনে জগত উৎসাহ পাবে। সুযোগ বাড়বে শিল্পী থেকে টেকনিশিয়ানদের। যে ইন্ডাস্ট্রি গত কয়েকবছর ধরে বড় হতে পারছিল না সেই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এমন জায়গায় পৌঁছবে যা আমরা আগে দেখিনি। ভারতের বুকে কোনও রাজ্যের কোনও সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা জানা নেই। এই প্রথম কোনও রাজ্য সরকার কোনও একজন বা দুজন মানুষকে নয় একটা গোটা ইন্ডাস্ট্রির পাশে দাঁড়িয়েছে। শ্রীকান্ত বলেন, “প্রযোজক হিসেবে বলতে পারি এখন আমার ৪টে ছবি ফ্লোরে আছে এবার সেটা ১২ টা হবে। এর ফলে আরও দশটা আর্টিস্ট কাজ পাবে। ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমাদের ভালো নতুন ছবি বানানোর দায়িত্ব বেড়ে গেল”।
পরিচালক অভিনেতা অরিন্দম শীল (Arindam Sil)বলেন, “আমরা সকলেই মনে করছি এটা বাংলা চলচ্চিত্রকে একটা বিশাল ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেল। আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেল। সরকার দারুণ কাজ করেছে।” প্রযোজক রানা সরকার (Rana Sarkar) বলেন, অনেকদিন ধরেই এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছিল। এবার ‘নো শো শেয়ারিং’ ব্যাপারটা সবার সামনে এসেছে। আমরা যে সিনেমা বানাই তা সবসময় কলকাতার বাইরে মুক্তি পায় না। তাই শহরের বাইরের সিঙ্গেল স্ক্রিনের অবস্থা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা ছিল। ‘ধূমকেতু’র (Dhumketu)সময় সবটা বোঝা গেল। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে তিনি উদ্যোগ নেন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে দুবার বৈঠক হয়। অবশেষে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত যা আগামিতে মুক্তিপ্রাপ্ত সব সিনেমার জন্য একটা ভালো দিক।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের সম্মতি! আইনে পরিণত হতে চলেছে সংখ্যালঘু কমিশন সংশোধনী বিল
_
_
_
_
_
_
_
_