যোগীরাজ্যে(Yogi Adityanath) মূক ও বধির বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরীর(Disabled Girl) নৃশংস ধর্ষণ (Brutal Rape)। পাশে দাঁড়ায়নি সরকার। ফলে মেয়েকে নিয়ে আত্মান্তরে হতদরিদ্র পরিবার। মুখ রক্ষায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মামলা শুরু করলেও, সব প্রমাণ থাকার পরেও ফাঁসির সাজা শোনায়নি আদালত(Court)। এদিকে কীকরে মামলার এবং মেয়ের চিকিৎসার খরচ চালাবেন তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না সামান্য দিনমজুর মা।

১৫ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের(Uttarpradesh) মিরাটে সন্ধ্যায় মাঠে বেরিয়ে আর ফেরেনি ১১ বছরের মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, মূক-বধির নাবালিকা(Disabled Girl))। খোঁজাখুঁজির পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। শরীরের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষতের চিহ্ন ছিল। গোপনাঙ্গে গুরুতর আঘাত।

মেডিক্যাল পরীক্ষায় নৃশংস ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত স্থানীয় যুবক দান সিং যাদবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। ১১ অগাস্ট রামপুর পকসো আদালতে দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৬ লক্ষ টাকা জরিমানার সাজা দেয়। বিচারক রামগোপাল সিং মন্তব্য করেন, ঘটনায় নির্মমতা অকল্পনীয়। কিন্তু তাও ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়নি। ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবার ফাঁসির দাবি তোলে। আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়ে নির্যাতিতার মা বলেন “ও নির্ভয়া নয় হয়তো, কিন্তু ক্ষত তাঁর চেয়ে কম নয়”।

নির্যাতিতা নাবালিকার শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। মীরাটের লালা লাজপত রায় মেমোরিয়াল মেডিক্যালে ১৪ দিন চিকিৎসার পরে ডাক্তাররা জানান, গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষতের কারণে স্বাভাবিক চিকিৎসা সম্ভব হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে অন্ত্র বাইরে এনে বিকল্প পথে মল-মূত্র ত্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনও কমপক্ষে দু’টি বড় সার্জারির প্রয়োজন। এদিকে, হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে নিয়মিত কোলস্টোমি ব্যাগ কেনাও কঠিন।

গ্রামের দুই কামরার কাঁচা বাড়িতে আতঙ্কে জীবন কাটাচ্ছে পরিবার। নির্যাতিতার বাবাও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী। মা দিনমজুরি করেন। মেয়েটির দাদার রোজকারী ভরসা কিন্তু বোনের চিকিৎসা এবং আইন আদালতের জন্য তিনিও হিমাচল থেকে ফিরে এসেছেন। এই পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়ায়নি যোগী সরকারও। অসহ্য পরিস্থিতিতে দিন কাটছে হতভাগ্য পরিবারটির।

–

–

–

–

–

–