আরএমও সেজে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন চিকিৎসকের সহকারী, এবার অভিযুক্ত একবালপুরের ওই নার্সিংহোম বন্ধের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন (Health Commission)। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও কমিশনের দেওয়া এক লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করেছেন অভিযোগকারিণী অলকা রায় (Aloka Roy)।
পেটে অসম্ভব ব্যথা নিয়ে একবালপুরের এক নার্সিংহোমে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা চিকিৎসা করাতে গেলে তাঁকে আরএমও সেজে ইঞ্জেকশন দেন চিকিৎসকের সহকারী। অবিনাশ কুমার নামে ওই ব্যক্তি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন প্যাডে কিছু ওষুধের নামও লিখে দেন। অলকা নার্সিংহোমে থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরতেই তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তিনি স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে গত ৬ অগাস্ট অভিযোগ দায়ের করেন। কমিশনের চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মহিলাকে ওই ইনজেকশন দেওয়ার জন্যই তাঁর গর্ভপাত হয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আপাতত স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিষয়টি দেখবেন। আপাতত ওই নার্সিংহোম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিশনের চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, বর্তমানে নার্সিংহোমে নতুন রোগী নেওয়া বন্ধ হয়েছে। যদিও এতে আর্থিক ক্ষতি হওয়ায় মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ কমিশনের কাছে নির্দেশ পুনর্বিবেচনা আবেদন করে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিকর্তার রিপোর্ট না মেলা পর্যন্ত নার্সিং হোম খোলার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নার্সিংহোম বন্ধ থাকবে। আগামী মাসে রিভিউ পিটিশন শোনার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–