মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি এখন গ্রামজুড়ে চর্চার বিষয়। বয়স মাত্র ১৬, কিন্তু ওজন ছাড়িয়েছে ১৩০ কেজি!
কাবিলপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া জিশান দিনে পাঁচবার খাবার ছাড়া থাকতে পারে না। প্রতিদিনই লাগে আড়াই থেকে তিন কেজি চালের ভাত। সঙ্গে মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, তরকারি। রুটি খেতে পছন্দ না হলেও একবারে ১০-১৫টা রুটি খেতে পারে অনায়াসে। বিরিয়ানি আর ফ্রাইড রাইস তার সবচেয়ে প্রিয়।
বড় ছেলে গ্রাজুয়েট হয়ে বেকার বাড়িতে বসে, মেয়ের বিয়ে হয়েছে। সংসারের একমাত্র রোজগেরে মুনশাদ বলেন, কাঠকলের দিনমজুরির টাকায় সংসারই চলে না, তার উপর প্রতিদিন জিশানের জন্য এত খাবার জোগাড় করতে গিয়ে আমি হিমশিম খাচ্ছি। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম, বলেছিলেন খাবার কমাতে আর ব্যায়াম করাতে। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। উল্টে দিন দিন ওজন বাড়ছে। অন্যদিকে, মা পিয়ারুন বিবির বছর খানেক আগে হার্টের বাইপাস সার্জারি হয়েছে। অসুস্থ শরীর নিয়েই ছেলের জন্য রান্না করতে হয় তাঁকে। সময়মতো খাবার না পেলে জিশানের রাগ চড়ে যায়, বাবা-মাকে খারাপ কথাও শুনিয়ে দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
গ্রামে অবশ্য জিশান বেশ পরিচিত মুখ। বড় চেহারার জন্য শিশুদের কাছে সে বিনোদনের উৎস। পাড়ার এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, অনুষ্ঠান বাড়িতে প্রায়ই দেখা যায় ওকে। এখন তো দেখছি নিজেই ঘুগনি বানিয়ে খাচ্ছে, আবার বিক্রিও করছে। ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন মুনশাদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তার আক্ষেপ, চিকিৎসা না করাতে পারলে ছেলের অবস্থা আরও খারাপ হবে।
আরও পড়ুন- কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড
_
_
_
_
_
_