তিনি যত না ছিলেন ম্যাসিডোনিয়ার তার থেকেও বেশি ছিলেন ভারতের, এই বাংলার। যাঁদের বেঁচে থাকার কোনও আশাই ছিল না, তাঁদের জীবনে আশা জাগিয়েছেন। হাসি ফুটিয়েছে বিশ্বজুড়ে দুঃখী মানুষের মুখে। তিনিই মাদার টেরিজা (Mother Teresa)। ১৮ বছর বয়সে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করতে তিনি আয়ারল্যান্ডে যান এবং সেখানে লোরেটো সিস্টারদের সঙ্গে যোগ দেন। ‘সিস্টার্স অব লোরেটো’ মিশনারি ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মপ্রচারের কাজ করেন।

মঙ্গলবার তাঁর জন্মবার্ষিকীতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি লেখেন, ‘মাদার টেরিজা (সেন্ট টেরিজা অফ ক্যালকাটা)-এর (Mother Teresa) জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁকে আমার অন্তরের শ্রদ্ধা জানাই।

মাদারের কাজ যেভাবে অনুপ্রাণিত করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে, তা তুলে ধরে তিনি লেখেন, মাদার ছিলেন শান্তি, সৌভ্রাতৃত্ব এবং মানবতার প্রতীক। মানুষের প্রতি ভালোবাসা কোন পর্যায়ে যেতে পারে, সেবা কত নিঃস্বার্থ হতে পারে – মাদার তা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে গিয়েছেন। সারা বিশ্ব জুড়ে আমার মতো অগণিত মানুষকে তাঁর এই মানবপ্রেম অনুপ্রাণিত করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের ভালোর জন্য আরো কাজ করে যেতে।

আরও পড়ুন: সবার ভালোবাসা লালবাগচা রাজাকে, মুম্বইয়ের গণেশ পুজোয় টক্কর দিতে তৈরি অন্যরাও

সেই সঙ্গে জানান, আমার পরম সৌভাগ্য আমি তাঁর মতো মানুষের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছিলাম এবং তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষার অন্য নানা দিকে আমরা যে সহস্র কর্মকান্ডে জড়িয়ে আছি, তার পিছনে অনেকটা প্রেরণা তো তাঁরই।

মাদার টেরিজা (সেন্ট টেরিজা অফ ক্যালকাটা)-এর জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁকে আমার অন্তরের শ্রদ্ধা জানাই।
মাদার ছিলেন শান্তি, সৌভ্রাতৃত্ব এবং মানবতার প্রতীক। মানুষের প্রতি ভালোবাসা কোন পর্যায়ে যেতে পারে, সেবা কত নিঃস্বার্থ হতে পারে – মাদার তা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে গিয়েছেন। সারা বিশ্ব…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 26, 2025
–

–

–

–
