মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ইতিমধ্যে শুধুমাত্র দেশ নয়, আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে বাংলা। তবে এখানেই শেষ নয় আগামীতে পর্যটন ক্ষেত্রকে পাখির চোখ করে একগুচ্ছ প্রকল্প তৈরি রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। বুধবার কলকাতায় বণিক সভা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত ট্যুরিজম কনক্লেভ এ যোগ দিয়ে তিনি জানান, ২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপ্ন দেখেছিলেন রাজ্য কে দেশের শ্রেষ্ঠ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার। সেই লক্ষ্য পূরণে অনেকটাই এগিয়েছে বাংলা। রাজ্য সরকারের পর্যটন বান্ধব একাধিক নীতির সুযোগ নিয়ে পাখা মেলেছে পর্যটন শিল্প। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে বাংলা এখন সেরা পর্যটন গন্তব্য। তবে এখানেই শেষ নয় ২০২৬ সালে চতুর্থ বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর পর্যটন শিল্পের বিকাশে আরো বেশ কিছু পরিকল্পনা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও পর্যটন মন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী কলকাতাকে কেন্দ্র করে নদীভিত্তিক পর্যটন নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহী। এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা বন্দরের সঙ্গে আলোচনা নির্দেশ দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই নদীভিত্তিক পর্যটন বিকাশের রূপরেখা স্থির করতে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।

ওই সম্মেলনে কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন জানান, কলকাতাকে কেন্দ্র করে শীঘ্রই বিশ্বমানের রিভার ক্রুজ টার্মিনাল প্রকল্প নিয়ে আসা হচ্ছে। তাছাড়া কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হুগলি নদীর দুই তীরে বন্দরের বহু জমি রয়েছে। এই জমি ব্যবহার করে পর্যটকদের বিনোদনের নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সব রকম সহায়তা ও মিলছে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী জানান, রাজ্য সরকারের হোম স্টে উৎসাহ নীতির সুযোগ নিয়ে একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে বহু হোমস্টে তৈরি হয়েছে। বাস্তবের মাটিতে হোমস্টেগুলির কি রকম কাজ করছে তা জানতে সমীক্ষা করেছে রাজ্য। ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে বেশ কিছু ব্যক্তি বা সংস্থা উৎসাহ নীতির সুবিধা নিলেও ব্যবসা শুরু করেনি। এদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – পণের জন্য অত্যাচার! মৃতা ননদ নিকিকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ মীণাক্ষির

_

_

_

_

_

_

_