গ্রেটার নয়ডায় নিকি ভাটি হত্যাকাণ্ড (Nikki Bhati Murder Case) নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। জানা গিয়েছে, পণের দাবি দাওয়ার জন্যই নিকি ভাটিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। সিরসা গ্রামে গৃহবধূ নিকিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ৩৬ লক্ষ টাকা পণের দাবিতে নিকিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন নিকির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এবার নিকির পরিবারের বিরুদ্ধেই পণ নেওয়ার অভিযোগ তুললেন মৃতার ভাইয়ের স্ত্রী মীণাক্ষি ভাটি (Meenakshi Bhati)।

২০১৬ সালে নিকির ভাইয়ের সঙ্গে বিবাহ হয় মীণাক্ষির। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মীণাক্ষি। নিকির মতোই তাঁকেও পণের জন্য অত্যাচারিত হতে হয়েছে। তাঁর কথায়, “আমার বাবা তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী সব কিছু দিয়েছিলেন, কিন্তু ওরা সন্তুষ্ট ছিল না। যৌতুকে দেওয়া গাড়িটি কয়েকদিনের মধ্যেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।“

এখানেই থেমে না থেকে মীণাক্ষির আরও অভিযোগ, নিকি-কাঞ্চনের বিয়ের আগেই তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পঞ্চায়েত ডাকার পরে ননদের বিয়ের সময় তিনি শ্বশুরবাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।

এর পাশাপাশি নিকি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি তাঁর ভাইবৌ করেছেন তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। ২০২০ সালে নিকির পরিবারের বিরুদ্ধে যৌতুক হয়রানির মামলা করেন মীণাক্ষি। কিন্তু পারিবারিকভাবে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাসে সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন। মামলা প্রত্যাহার করে নিতেই ফের সমস্যা শুরু হয়। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা।

মীণাক্ষির অভিযোগের নিশানায় নিকিও। তাঁর কথায়, স্বামী রোহিত, কাঞ্চন, নিকি এবং তাঁদের মা একসঙ্গে তাঁকে মারধর করত। কাঞ্চন, নিকি তাঁকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিতেন। জানিয়েছিলেন, তিনি চলে গেলে তাঁর ভাই অন্য একজনকে বিয়ে করবে।

কয়েক দিন নিকি হত্যাকাণ্ডের (Nikki Bhati Murder Case) খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দগ্ধ অবস্থায় নয়ডার ফর্টিস হাসপাতাল থেকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময় নিকির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর স্বামী বিপিন ভাটিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিপিনের বাবা সত্যবীর ভাটি ও ভাই রোহিত ভাটি পলাতক। এফআইআরে নিকির শাশুড়ি দয়ার নামও রয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাইছেন নিকির পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধেও যে বধূ নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠল।

–

–

–

–
