শুল্ক দ্বন্দ্বে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক গোটা বিশ্বের কাছে ঠাণ্ডা যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। লড়াইয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছে রাশিয়া ও চিন। আর তাতেই কী থরহরি কম্প অবস্থা আমেরিকার? আচমকাই নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে লম্বা চওড়া বন্ধুত্বের বার্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতেই বুকে টেনে নিলেন মোদি। যদিও তাতে আখেরে ভারতের লাভ কতটা হল, তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি কোনও রাষ্ট্রনেতা। আদৌ শুল্কে (tariff) কোনও সুবিধা পাবে কি না ভারত, তা নিয়ে কিছুই বললেন না ট্রাম্প। ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদতে কী ভারতের স্বার্থের বিনিময়ে আমেরিকা থেকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নিজের স্বার্থসিদ্ধির কাজই করছে?

শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প পোস্ট করে ছিলেন, ‘মনে হচ্ছে ভারত ও রাশিয়াকে গভীর ও অন্ধকার চিনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি।’ আর এরপর শনিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, এখনও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তাঁর কাছের বন্ধুই। মোদি মহান ব্যক্তি। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। স্মরণ করালেন, এই তো কয়েক মাস আগে তাঁরা বাগানে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।

প্রত্যুত্তরে শনিবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে মোদি জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আবেগ-অনুভূতি এবং আমাদের সম্পর্ক নিয়ে যে ইতিবাচক মূল্যায়ন তিনি করেছেন, তার প্রশংসা করি। আমি এর প্রতিদান দেব। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে অত্যন্ত ইতিবাচক, ভবিষ্যৎমুখী এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।’

আরও পড়ুন: মুম্বই উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি: উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত

আমেরিকা শুল্ক নিয়ে নরম মনোভাব না দেখানোর পরে ভারতের তরফ থেকে বারবার সুর নরম করার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। তারাই দাবি করেছে, আমেরিকার উপর থেকে সব শুল্ক শূন্য করার বার্তাও না কি ভারতের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই বক্তব্যের সত্যতা ভারতের তরফ থেকে স্বীকার কার হয়নি। তবে ট্রাম্পের পাল্টা মোদির টুইটে সেই সুর নরমেও ইঙ্গিত রয়েছে। যদিও শুল্ক নিয়ে কোনও ইতিবাচক স্পষ্ট কথা ট্রাম্প বা মোদি কেউই প্রকাশ করেননি।

–

–
–
–

–