একের পর এক ধসের ঘটনায় মাত্র দুদিন আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গোটা হিমাচল প্রদেশের অস্তিত্বই বিলুপ্ত হতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেই এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকল হিমাচল প্রদেশের শিরমৌর (Sirmaur) এলাকা। মাটির তলা থেকে প্রবল বেগে বেরিয়ে এলো জল। তার জেরে একটা বড় অংশের মাটি ও তার উপরের সবকিছু ধসে গেল ভয়ঙ্করভাবে। সাম্প্রতিক সময়ে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) যে ধরনের ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, এটি তার থেকে একেবারে আলাদা বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এবারের বর্ষায় যে ধ্বংসাত্মক চেহারা প্রকৃতির তার সবথেকে বেশির ক্ষতির মুখে পড়েছেন হিমাচল প্রদেশের মানুষ। এপর্যন্ত গোটা বর্ষায় হিমাচল প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৫৫ জনের। তার মধ্যে ১৯৪ জন মারা গিয়েছেন ভূমিধস, হড়পা বান থেকে বন্যার কারণে। তিনটি জাতীয় সড়কের (National Highway) পাশাপাশি রাজ্যের ১০০১টি রাস্তা এখনও বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বন্ধ। ১৯৯২ ট্রান্সফর্মার ক্ষেত্র এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। বিপর্যয় যেন এবছর আর কাটছেই না। সেই পরিস্থিতির উল্লেখ করেই হিমাচল প্রদেশে ব্যাপক গাছ কাটা ও নির্মাণকাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের সেই আশঙ্কাকেই যেন নতুন করে সত্যি প্রমাণ করল হিমাচলের শিরমৌর (Sirmaur) এলাকার চৌকর গ্রাম। শনিবার সকালে সেখানে এক ভয়ঙ্কর ভিডিও ভাইরাল (ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ) হয়। সেখানে দেখা যায়, পাহাড়ের গায়ে মাটির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে জল। সেই জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে পাহাড়ের উপরের মাটি, গাছপালা, ঝোপঝাড়। মাটির তলা ফাঁকা হতেই বিরাট অংশের জমি ধসে মাটির ভিতরে ঢুকে যায়। এভাবে প্রায় ২০০ মিটার এলাকা সম্পূর্ণ ধসে যায় ও জলের তলায় চাপা পড়ে যায়।

আরও পড়ুন: মহিলাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে নুড গ্যাং! ধরতে ড্রোন ওড়ালো উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

শিরমৌরের ঘটনায় কোনও হতাহত না হলেও এই নতুন ধরনের বিপর্যয় ভাবাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। এই ঘটনায় সময়ে পাঁচ ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, যাঁরা ভিডিও করেছিলেন। তবে তাঁরা সুরক্ষিত অবস্থায় পালাতে সক্ষম হয়েছেন।

–

–
–
–

–