হুমকি দিয়ে মুম্বইতে হামলার আতঙ্ক তৈরি করেছিল বিহারের ব্যক্তি। হুমকি পাঠিয়েছিল উত্তরপ্রদেশে বসে। পুলিশি তৎপরতায় সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা গেলেও আদৌ কতটা নিরাপদ বাণিজ্য নগরী, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। একদিকে যেমন প্রশ্ন উঠেছে যে হুমকি এসেছিল, তার সত্যতা নিয়ে। অন্যদিকে, যদি এই হুমকি ভুয়ো হয় তবে বিহারের (Bihar) ওই ব্যক্তি কেন এমন করেছিলেন। যতক্ষণ না এই জট ছাড়াচ্ছে নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে মুম্বইতে। গোটা বিষয়গুলি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কতটা নিরাপদে ছক কষেছিল, এই গ্রেফতারিতে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

শুক্রবার মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্য়াপ নম্বরে একটি মেসেজ আসে, যেখানে মুম্বইয়ের ৩৪টি গাড়িতে প্রায় ৪৫০ কেজি আরডিএক্স (RDX) মজুত থাকার তথ্য দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এই বিস্ফোরণ সংঘটিত করতে পাকিস্তান থেকে ১৪ জঙ্গি মুম্বইতে প্রবেশ করার তথ্যও দেওয়া হয়। মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের থেকে এই তথ্য পেয়ে তদন্তে নামে মুম্বই পুলিশ। সেই সূত্রে জানতে পারা যায় উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় বসে সেই হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত। তারপরেই সে নিজের মোবাইল ফোন সুইচ অফ করে দেয়।

মুম্বই পুলিশ নয়ডায় তদন্তে এসে স্থানীয় সূত্র ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করে অশ্বিনীকুমার সুরেশকুমার সুপ্রা নামে ওই ব্যক্তিকে। জানা যায় সে আদতে পাটনার বাসিন্দা। পেশায় জ্য়োতিষী ও ব্যবসায়ী। তবে হুমকি মেসেজে যে সংগঠন – লস্কর-ই-জেহাদির নাম সে ব্য়বহার করেছিল, তার আদৌ কোনও অস্তিত্ব রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় আত্মসমর্পণের পরই জামিন মঞ্জুর মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার

হুমকি মেসেজ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই গ্রেফতারিকে বিশেষ সাফল্য হিসাবে দেখছে মুম্বই পুলিশ। এবং প্রাথমিকভাবে তাঁদের দাবি এই মেসেজ নিতান্তই উড়ো বা ভুয়ো। যদিও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গোটা বিষয়টি তাদের কাছে পরিষ্কার হবে না, এমনটাও জানানো হয়েছে। তবে মুম্বইতে হামলা চালানো সহজ না হলেও বাণিজ্য নগরীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার যে ছক বিহারের ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশে বসে কষেছেন, তাতে স্পষ্ট বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির নিরাপত্তার গাফিলতি। এই ঘটনার সূত্রে যে ব্যক্তি অশ্বিনীকুমার যে দোকান থেকে সিমকার্ড কিনেছিলেন, সেই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।

–

–
–
–

–