রাজ্যের এসএসসি পরীক্ষায় সব দফতরের সমন্বয়ের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের সব রকম সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে। সেই কাজে লেটার মার্কস নিয়ে পাশ রাজ্য পুলিশ। শহর থেকে জেলা – রবিবার বারবার পুলিশ কর্মীদের শুধুই নিয়ম রক্ষা নয়, মানবিক ভূমিকায় দেখা মিলেছে। সেই রকমই আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) এক পুলিশকর্মীর জন্য পরীক্ষা দিতে সক্ষম হলেন কোচবিহারের এক চাকরিপ্রার্থী।

পরীক্ষা দিতে এসে ভুল কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া পরীক্ষার্থীকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন আলিপুরদুয়ার ট্রাফিক পুলিশের এক ট্রাফিক গার্ড। রবিবার সকালে কোচবিহার জেলার বাসিন্দা দেবুলাল গড়াই নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী (SSC candidate) ভুল করে চলে আসে আলিপুরদুয়ার বীরপাড়া বিবেকানন্দ কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে। সেখানে পৌঁছে সে বুঝতে পারেন, তিনি ভুল কেন্দ্রে চলে এসেছে। তাঁর নির্ধারিত কেন্দ্র ছিল বিবেকানন্দ কলেজ থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে শীলবাড়ি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য হাতে ছিল মাত্র ৩০ মিনিট সময়। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছাবেন, ভেবেই ভেঙে পড়েন দেবুলাল।

সেই সময় যখন ধরেই নিয়েছিলেন তাঁর চাকরির পরীক্ষা দেওয়া হবে না, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় কলেজের গেটের বাইরে ডিউটিরত আলিপুরদুয়ার ট্রাফিক ওসি। তিনি বিষয়টি লক্ষ্য করে এগিয়ে গিয়ে ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করেন, তাঁর কি হয়েছে? এরপর ওই পরীক্ষার্থী গোটা ঘটনা জানালে ট্রাফিক ওসির নির্দেশে সুব্রত সেন নামে একজন ট্রাফিক গার্ড ওই পরীক্ষার্থীকে নিয়ে নিজের ব্যাক্তিগত চার চাকার গাড়ি ছোটান শীলবাড়ি হাটের উদ্দেশ্যে।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি: ১০ লক্ষ টাকায় শুরু হচ্ছে খেলার মাঠের উন্নয়ন

হাতে একদম সময় কম, তার উপর সোনালী চতুর্ভুজের কাজ চলার কারণ রাস্তার অবস্থাও খুব খারাপ। কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে ট্রাফিক আইন বাঁচিয়ে যতটা সম্ভব দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে ওই যুবককে পৌঁছে দেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। সময় এতটাই কম ছিল যে, ওই যুবক কেন্দ্রে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই গেটও বন্ধ হয়ে যায়। আর এক মিনিট দেরিতে পৌঁছলে আর পরীক্ষা দেওয়া হত না দেবুলালের। পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে ট্রাফিক পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে পরীক্ষা দিয়ে ঢুকে যান তিনি। এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার ট্রাফিক ওসি মঞ্জয় দত্ত জানান, আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করেছি মাত্র। তবে এই ভেবে ভালো লাগছে যে ছেলেটি ঠিক সময়ে পৌঁছে পরীক্ষা দিতে পেরেছে।

–

–
–
–

–