নদিয়ার তেহট্টে নয় বছরের স্বর্ণাভ বিশ্বাসের দেহ উদ্ধারে উত্তাল হয় নিশ্চিন্তপুর এলাকা শনিবার। খুনি সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ প্রতিবেশী দম্পতিকে। ঘটনায় শিশু খুন ও দেহ লোপাটের পাশাপাশি গণপিটুনির তদন্তে তেহট্ট (Tehatta) থানার পুলিশ। শনিবার দুটি ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গণপিটুনির (mass beating) বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

শুক্রবার খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় নিশ্চিন্তপুরের স্বর্ণাভ বিশ্বাস। পরদিন পাশের পুকুরে প্লাস্টিকে অর্ধেক মোড়া স্বর্ণাভর দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রতিবেশী উৎপল মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধোর করা হয়। মারে মৃত্যু হয় উৎপল ও তাঁর স্ত্রী সোমা মণ্ডলের।

যদিও স্বর্ণাভর বাবা জানান, উৎপলের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কোনও অশান্তি ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারা স্বর্ণাভর খুনে তাদের অভিযুক্ত করার পরই তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের সন্তানের মৃত্যুর জন্য এরা দায়ী ছিল।

দুটি ঘটনায় পুলিশ ছোট্টু মণ্ডল, সুপ্রিয়া ভৌমিক, কার্তিক মণ্ডল ও সুচিত্রা মণ্ডল নামে চারজনকে গ্রেফতার করে। রবিবারই তাদের আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হবে। এই ঘটনায় মোট অভিযুক্ত হিসাবে ৭ জনের নাম রয়েছে

আরও পড়ুন: জেলা থেকে শহর, রাজ্যজুড়ে নির্বিঘ্নে শুরু এসএসসি পরীক্ষা

স্বর্ণাভর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের (postmortem) রিপোর্ট এখনও না এলেও প্রাথমিক রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে (chocked to death) খুন করার অনুমান করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে রবিবারেও থমথমে নিশ্চিন্তপুর এলাকা। পুলিশের টহলদারি ও তল্লাশি জারি রয়েছে এলাকায়।

–
–
–

–