চুপসে গেল বিবেকের (Vivek Agnihotri)বেলুন। বিজেপির (BJP) প্রোপাগান্ডা করার জন্য সিনেমা বানানো পরিচালকের নতুন ছবিকে শুধু বাংলায় নয় গোটা দেশ জুড়েও প্রত্যাখ্যান করলেন দর্শকরা। প্রথম দিনের বক্স অফিস কালেকশন দু-কোটির ধারে কাছে পৌঁছয়নি। দ্বিতীয় দিনেও প্রায় একই দশা। এবার দূরবীন দিয়ে দর্শক খুঁজতে হচ্ছে খোদ মোদি রাজ্য গুজরাটের (Gujrat) বিভিন্ন সিনেমা হলে। “সত্যজিতের বাংলায় শিল্পী স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া হচ্ছে” মার্কা কথাবার্তায় মিডিয়া হাইপ তোলার এত চেষ্টা করেও প্রেক্ষাগৃহে যে দর্শক টানতে পারলেন না বিবেক বাবু। লম্ফঝম্পই সার, এবার বিজেপি রাজ্য সুরাটের প্রেক্ষাগৃহের বুকিং স্ক্রিনশট শেয়ার করে খোঁচা দিলেন তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)।

‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ (The Bengal Files) নামের ছবি বানিয়ে বাংলাকে অপদস্ত করার চক্রান্ত করেছিলেন তিনি ও তাঁর টিম। মিথ্যে কথা বলে সিনেমায় বাঙালি শিল্পীদের ব্যবহার করে বোঝাতে চেয়েছিলেন, তিনি বাংলার মানুষদের নিয়েই এই ছবি বানিয়েছেন। অথচ ছত্রে ছত্রে পশ্চিমবঙ্গকে অপদস্ত করার জন্য ভুয়ো মিথ্যে তথ্য ব্যবহার করে শান্ত বাংলায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরির পরিকল্পনা একেবারে স্পষ্ট ছিল বাঙালির কাছে। বাংলার হলমালিক, ডিস্ট্রিবিউটররা বুঝে গেছেন এ ছবি চলবে না। বাংলাতে চলেও নি। কেউ তো আর সাধ করে লসে রান করা সিনেমা চালিয়ে ব্যবসা ডোবাতে চাইবেন না। তো এবার দেশে সিনেমা মুক্তি পেতেও দেখা গেল মেট্রো সিটিগুলোর পাশাপাশি মোদি-শাহদের রাজ্যেও চরম পর্যদুস্ত বিবেক। তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty) সুরাট শহরের আইনক্সের টিকিট বুকিং এর একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রায় পঁচানব্বই শতাংশের বেশি আসন ফাঁকা। এটাই বিজেপির চিত্রনাট্য ও নির্দেশনায় তৈরি বিবেকের ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর আসল ছবি। ফেসবুকে অরূপ লিখেছেন, ‘জিঙ্গল পাইলস, উনিজীর সাধের গুজরাটের সুরাটে আইনক্সের অবস্থা। নিজেই দেখে নিন, ৫% টিকিটও বিক্রি হয়নি, এটা আন্দাজ করেই এখানেও আর কেউ এটা হলে চালায় নি। কে আর সাধ করে লস খেতে চায়?বেচারার এত নাটক, সব মাঠে মারা গেল। কিন্তু আমার সাদা মনে একটাই প্রশ্নের উত্তর পেলাম না এখনো যে, অনুরাগ ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কে হন সম্পর্কে?’

এর আগে “বাংলায় কেন সিনেমা মুক্তি পাবে না” প্রশ্ন তুলে লম্বা- চওড়া মুখস্থ বুলি আওড়াতে দেখা গেছিল বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘ওঁর বাড়ির বৈঠকখানার স্ক্রিন লাগিয়ে দেখান। এটার সঙ্গে দলেরও সম্পর্ক নেই, রাজ্য সরকারেরও সম্পর্ক নেই। যাঁরা ডিস্ট্রিবিউটর, যাঁরা হল মালিক, তাঁরা যদি মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বিকৃত কিছু আমরা দেখাব না বা প্ররোচনামূলক কিছুতে যুক্ত হব না, সেটা তাঁদের স্বাধীন সিদ্ধান্ত। সারা ভারতে আজ কতগুলো হলে… সুরাটের হলের ছবি দেখেছেন? সিটের পর সিট ফাঁকা.. একটা ডাহা ফ্লপ চতুর্থ শ্রেণীর সিনেমা। যাঁরা যাঁরা দরদ দেখাচ্ছেন, নিজের বাড়ির বৈঠকখানায় স্ক্রিন লাগিয়ে দেখুন ও দেখান।’ বিজেপিপন্থী পরিচালক বিবেক প্রত্যেক ছবিতেই গেরুয়া দলের নির্বাচনী এজেন্ডা (BJP’s agenda) তুলে ধরেন। সামনের বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন, তাই তার আগে দিল্লির কর্তাদের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার শুধু বাংলা নয় গোটা দেশের মানুষ যে তাঁর চক্রান্ত সফল হতে দেয়নি সেটা ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর রিপোর্ট কার্ড থেকেই স্পষ্ট। বিবেকবাবু এবার কী বলবেন?

–

–

–

–
–
–

–
–