মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই সূচনা দুর্গা পুজোর(Durga Puja)। কিন্তু বোধনের আগেই বিষাদের সুর মেহতাব হোসেনের (Mehetab Hossian) বাড়িতে। গত বছর ধুমধাম করে দুর্গা পুজো হয়েছিল প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারের বাড়িতে। কিন্ত এবার বাড়িতে দুর্গা পুজো আয়োজন করতে পারছেন না মেহতাব।

কিন্ত এবার বাড়িতে দুর্গা পুজোর আয়োজন করতে পারছেন না মেহতাব ও তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে কিছুটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছেন মেহতাব। ফলে পরিস্থিতির কারণে এবার বাড়িতে পুজো হচ্ছে না মেহতাবের। তিন প্রধানে খেলা প্রাক্তন ফুটবলার জানিয়েছেন, এই বছর আমার বাবা প্রয়াত হয়েছেন। ছোট শ্যালক ক্যান্সারে আক্রান্ত। কী ভাবে হবে পুজো?”

স্ত্রী মৌমিতার ইচ্ছাতেই বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন মেহতাব। এই বছর ঢাকের বোল বাজবে না নিউটাউনের ‘নির্মলা ম্যানসনে’। সতীর্থরা পুজোর সময়ে বাড়িতে আসতেন। আনন্দে, আড্ডায় কেটে যেত দিনগুলো। কিন্তু এই বছর যে সুর কেটে গিয়েছে।

বরাবারই ধর্ম নিরপেক্ষ থাকেন মেহতাব। এমনকী মেহতাব নিজেও বিশ্বাস করেন সবার ওপরে মানুষ সত্য। তাই বাড়িতে পুজোর আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন মেহতাব। কিন্তু, এই বছর মেহতাবের বাড়িতে আর ঢাকের বোল শুনতে পাওয়া যাবে না। হবে না সন্ধি পুজোর মন্ত্রোচ্চারণও। দুর্গাপুজো মানে শুধু ধর্ম নয়, এটা আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের মিলনের উৎসব। বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখা, প্যান্ডেলের আলোয় মুগ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়ানো, শহরে থাকলে পাড়ার পুজোর দায়িত্ব ভাগ করে নিতেন।

আরও পড়ুন:সিনার-আলকারাজ দ্বৈরথ, ইউএস ওপেনের ফাইনালে চর্চায় ট্রাম্প

স্ত্রীর ইচ্ছায় এবার নিজের বাড়িতে দুর্গাপুজো করেছিলেন ভারতের তথা দুই প্রধানে চুটিয়ে খেলা মেহতাব হোসেন। তাঁর নিউটাউনের বাড়িতেই বসে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আসর। এককালীন সতীর্থ থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধবদের আমন্ত্রণও করেন। ঈদে যেমন পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মাতেন, ঠিক তেমনই সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন পুজোতে মেতেছিলেন মেহতাব এবং মৌমিতা।কিন্তু এবার শুধুই বিষাদের সুর।

–
–
–

–
–