বাংলার আত্মা, বাংলার গর্ব, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর তাঁর প্রতিকৃতিই পড়ে রইল বিজেপি নেতা তথা দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পায়ের কাছে! বাঙালির সংস্কৃতি ও আবেগকে চরম অপমান করার এ এক জ্বলন্ত প্রমাণ বিজেপির। বিজেপিকে ধিক্কার জানিয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির এই কর্মকাণ্ডের ছবি পোস্ট করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও তৃণমূল মুখপাত্র তথা ছাত্রনেতা সুদীপ রাহা। যদিও ভাইরাল হওয়া এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ।

তৃণমূল মুখপাত্র সুদীপ রাহা এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, বাঙালির আবেগ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আবারও অসম্মান করল বিজেপি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতি বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির পায়ের কাছে! ইনি নাকি দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী! বাংলা ও বাংলার মনীষীদের সম্পর্কে বিজেপির মানসিকতা আবারও স্পষ্ট হল। বাঙালি বিরোধী বিজেপিকে ধিক্কার! যিনি নিজে দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, তাঁর চোখের সামনে গুরুদেবের প্রতিকৃতি অপমানিত হলো। অথচ তিনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন! বাংলার মানুষ এই নীরবতাকে ক্ষমা করবে না। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির এই ‘অপমানের রাজনীতি’ বাংলার মানুষ বারবার দেখেছে। কখনও বাঙালির ভাষা নিয়ে কটাক্ষ, কখনও বাংলার মনীষীদের হেয়। এবার বিশ্বকবির অসম্মান। রবীন্দ্রনাথের অপমান মানে বাংলার অপমান। অভিযোগের মুখে বিজেপির তরফে এখনও কোনও সাফাই আসেনি। এখন প্রশ্ন একটাই ক্ষমা চাইবে তো বিজেপি?

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসে দেশের বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জাতির জনক গান্ধীজি থেকে নেতাজীকে চরম অপমানের নজির রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদি পরিচালিত কেন্দ্রের সরকার। তাঁরই এক মন্ত্রকের (Ministry of Petroleum and Natural Gas) শ্রদ্ধার প্রচার ছবিতে গান্ধীজি, নেতাজিকে নিচে রেখে সাভারকারকে (Vinayak Damodar Savarkar) রাখা হয়েছিল উপরে।

আরও পড়ুন- মোস্তাক হোসেনের জনপ্রিয়তার অকথিত রহস্য কী?

_

_

_

_

_

_
_