গুজবে কান দেবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) আসা কোনও ভুল খবরকে পাত্তা দেবেন না। পুজোর সময় কোনও গুজব যদি কানে আসে, সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে (Police) জানান। কলকাতার পুজো কমিটির কর্তাদের অনুরোধ জনালেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। বুধবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন নগরপাল। ছিলেন লালবাজারের অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক, দমকল, পুরসভা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, সিইএসসি-র কর্তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) গুজব ছড়ানো হয়। বাংলায় অশান্তি ছড়াতে ভুয়ো খবর প্রচারের ষড়যন্ত্র করা হয়। এই নিয়ে বারবার সতর্ক করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর সময় সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে যাতে এভাবে গুজব ছড়ানো না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করলেন পুলিশ কমিশনার। এবছর এখনও পর্যন্ত ২৬৫২টি পুজো ‘আসান’-এ অনুমতি চেয়ে নথি জমা দিয়েছে। বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে সাইবার সচেতনতার জন্য লালবাজারের সাইবার থানা কিয়স্ক তৈরি করবে। পুলিশ কমিশনার জানান, পুজোর উৎসবের অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। পুজোর ম্যাপও উদ্যোক্তাদের দেওয়া হবে। সাইবার অপরাধ ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ (Police)। অনলাইনে কেনাকাটার সময় সাইবার জালিয়াতরা ফাঁদ পাততে পারে। সবসময় সতর্ক থাকতে হবে- পরামর্শ মনোজ ভর্মার।

লালবাজারের যে যে নির্দেশ
তৃতীয়া থেকেই রাস্তায় থাকছে অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ
রাস্তায় নিরাপদে চলার জন্য পুলিশের নির্দেশিকাগুলি মেনে চলতে হবে
অপরাধ রুখতে থানাগুলি নজর রাখবে এলাকার অপরাধীদের শনাক্ত করা গেলে আগাম ব্যবস্থাও নেওয়া যায়
অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই কারণে পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে মণ্ডপগুলিতে বিদ্যুতের খোলা তার যাতে না থাকে, ভলান্টিয়ারদের সেদিকে নজর রাখতে হবে
শিশুদের দিকে সবার নজর রাখতে হবে
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ গুজব ছড়ালেই যেন পুলিশকে জানানো হয়

৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। ৫ অক্টোবর রেড রোডে কার্নিভাল। বিসর্জন যেন সময়মতো ও সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য হাই কোর্টের গাইডলাইন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ কড়াভাবে মানতে বলেন পুলিশ কমিশনার। ১৫ থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যেই পুজো উদ্যোক্তাদের অনুদানের হিসেব ও খতিয়ান জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। চাঁদার জুলুম নিয়েও থানাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।

–

–

–

–

–



