রক্তক্ষয়ী-জ্বলন্ত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নেপালে গণঅভ্যুত্থানে পতন হয়েছে কেপি শর্মা ওলি সরকারের। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কারকিকে (Sushila Karki) বাছল সেদেশের জ়েন জি। বাংলাদেশের ইউনুসের মতোই সুশীলা সরাসরি রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। তিনি নেপালের (Nepal) প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।

মূলত নবীন প্রজন্মের আন্দোলনের জেরেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ওলি। এবার কার হাতে যাবে নেপালের (Nepal) শাসনভার? অনেকে মনে করেছিলেন, সেনা শাসন জারি হবে। কিন্তু সেই জল্পনা আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। প্রধানমন্ত্রী বাছতে বুধবার, ৫ হাজারেরও বেশি যুবক-যুবতী ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন। প্রথমে কাঠমাণ্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহের নাম প্রথমে শোনা যায়। কিন্তু বারবার তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি নাকি ফোন ধরেনি, কোনও যোগাযোগও করেননি। এদিন, জেন-জ়িদের প্রতিনিধি বলেন, “উনি যেহেতু আমাদের ফোন ধরেননি, তাই আমরা অন্য নাম বেছেছি। সবথেকে বেশি সমর্থন পেয়েছেন সুশীলা কারকি।”

সুশীলার নাম প্রস্তাবের সময় তিনি জানিয়ে ছিলেন, অন্তত ১ হাজার জনের সই করা সমর্থনপত্র পেলে, তবেই তিনি রাজি হবে। সূত্রের খবর, আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ সুশীলার সমর্থনে স্বাক্ষর করেছেন। সুতরাং পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সুশীলা নেপালের দায়িত্ব সামলাবেন।

একই ভাবে অরাজনৈতিক ব্যক্তি মহম্মদ ইউনুসকে বেছে ছিলেন বাংলাদেশের হাসিনা বিরোধী মানুষ। কথা ছিল, তিনমাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন করাবেন তিনি। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও সাধারণ নির্বাচনের দেখা নেই পদ্মাপাড়ে। অনেকেই এখন ইউনুসের উপর বিরক্ত। এমনকী, যাঁরা তার হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিল, তাঁরাও এখন তদারকি সরকারের ভূমিকায় হতাশ। এবার নেপালে এই পরিস্থিতিতে সুশীলা কী করেন, সেদিকেই নজর বিশ্বের।
