মোস্তাক হোসেন। পতাকা গোষ্ঠীর কর্ণধার। শিল্পপতি থেকে সমাজসেবী, এককথায় সমাজবন্ধু। একইসঙ্গে চিন্তাবিদ, শিক্ষাআন্দোলনের প্রথম সারিতে। গরীব ঘরের অভাবীদের জীবনে প্রতিষ্ঠালাভে হাত বাড়ালেই বন্ধু মোস্তাকসাহেব।

মুর্শিদাবাদের গ্রাম থেকে উঠে এসে মাটিতে পা, আকাশে মাথা। বিড়িশিল্পে বিপুল কর্মসংস্থান। তার সঙ্গে চা-সহ আরও প্রোডাক্ট। করেছেন হাসপাতাল। দক্ষ হাতে মেয়ে সামলাচ্ছেন সেই জিডি হাসপাতাল। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও কাজে তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা। গোটা সমাজ, বিশেষত মুসলিম সমাজকে আরও শিক্ষা, আরও চাকরি, আরও প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কয়েক দশক ধরে।

কেন মোস্তাক এত জনপ্রিয়, কীভাবে কাজ করেন তিনি, এর রহস্যসন্ধানে প্রকাশিত একটি বই- মোস্তাক হোসেন, জীবন ও ঐতিহ্য। উদার আকাশ প্রকাশনীর বই। সংকলনটি দুর্দান্ত। লেখক তালিকায় রয়েছেন মোস্তাক স্বয়ং, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী, অশোক দাশগুপ্ত, ডঃ তনভীর নাসরিন, কবীর সুমন, সুমন ভট্টাচার্য, দেবাশিস পাঠক, অর্ণব সাহা প্রমুখ। মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ বহুমুখী। স্বপ্ন দেখা এবং তার রূপায়ণ, কীভাবে করেন মোস্তাক, যাতে থাকে মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা, তা গবেষণার আকারে ধরা আছে এই বইতে। এটি শুধু একজন ব্যক্তির কথা নয়, এটি সমকালীন সমাজ ও অর্থনীতির দলিল। ভূমিকা লিখেছেন পবিত্র সরকার। সম্পাদনা ফারুক আহমেদ। উৎসর্গ মুসরেফা হোসেন, সাহিল হোসেন ও সারিফ হোসেনকে। মোস্তাক হোসেন আজ আর কোনো ব্যক্তি নন, তিনি এক বৃহৎ আকাশ হয়ে উঠেছেন। তিনি যত মানুষকে আয়ের সন্ধান দিয়েছেন, যত ছাত্রছাত্রীকে প্রতিষ্ঠার পথ দেখিয়েছেন, যত বিপন্নের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সমাজ কি তার যোগ্য সম্মান, স্বীকৃতি মোস্তাক হোসেনকে দিয়েছে? এনিয়ে কিন্তু অপ্রিয় আলোচনা চলতেই পারে। গ্রাম বাংলা থেকে উঠে এসে আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া লাগানো জাতীয় স্তরের ব্যক্তিত্ব মোস্তাক, যিনি শুধু নিজে সফল হয়ে সন্তুষ্ট থাকেন না, সেই সাফল্যের আলোয় অন্যের জীবনের অন্ধকারও দূর করেন। পতাকা গোষ্ঠীকে তিনি লক্ষ মানুষের জীবনের সাফল্যের পতাকায় পরিণত করে তুলেছেন।

আরও পড়ুন- নেপালের ঘটনা থেকে পৃথিবীর সমস্ত কমিউনিস্টদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ: কাদের বার্তা তন্ময়ের!

_

_

_

_

_

_
_