সাংবাদিকের সামনে অভিযোগ করলেন তাঁরা, অথচ আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেদের কথা বলার মতো সাহস দেখাতে পারলেন না? নাকি বিজেপির শেখানো বুলি ভুলে যাওয়ার কারণে ভিডিও রেকর্ডিংসের ক্লিপিংস চেয়ে পাঠাতে হল আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Medical College and hospital case) ঘটনায় মৃত ডাক্তারের বাবা-মাকে? ধর্ষণ-খুনের তদন্তে সিবিআই ঘুষ খেয়েছে এবং রাজ্য সরকারের তরফে সেই টাকা নাকি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) কেন্দ্রীয় এজেন্সির দফতরে নিয়ে গিয়ে সেটেলমেন্ট করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মৃতার মা-বাবা। পাল্টা তাঁদের বক্তব্যের প্রমাণ চেয়ে মানহানির মামলা করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার ছিল শুনানির দিন, অথচ ব্যাক আউট করলেন তাঁরা। আসলে যে কোনও প্রমাণ নেই, পুরোটাই মিথ্যাচার সেটাই স্পষ্ট হয়ে গেল, আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে বললেন কুণাল (Kunal Ghosh)।

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। প্রথম থেকেই দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাকে গ্রেফতার করেছে তাকেই দোষী বলে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। মৃতার পরিবারের তরফেই রাজ্যের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে CBI তদন্তের দাবি করা হয়েছিল। অথচ সেই সিবিআই যখন কলকাতা পুলিশের তদন্তকেই মান্যতা দিয়েছে তখন কিছু মানুষের প্ররোচনায় চিকিৎসক তরুণীর বাবা-মা রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে কেন্দ্রীয় দফতরে কুণাল ঘোষ ঘুষ দিয়ে সেটেলমেন্ট করেছেন বলে অভিযোগ করেন। পাল্টা অভিযোগের সত্যতা দাবি করে মানহানির মামলা করেন তৃণমূল নেতা। অথচ শুনানির দিন কোন তথ্য প্রমাণ না দিতে পেরে সময় নষ্ট করার কৌশল মৃতার পরিবারের আইনজীবীর। এদিন কুণাল (Kunal Ghosh)বলেন, ‘আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে আমার মানহানির মামলায় প্রমাণ হয়ে গেছে যে ওনারা ব্যাক আউট করছেন। ওনাদের কাছে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। নিজেরা যে বক্তব্য রেখেছিলেন সেটা আদালতে উনি বলতে পারলেন না বা ওনার উকিল সেই তথ্য তুলে ধরতে পারলেন না। সময় নষ্ট করার জন্য নিজের বলা বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং চেয়ে পাঠালেন তাঁরা। আমার আইনজীবী সবটাই উল্লেখ করেছেন। তার থেকেও বড় কথা উনি সাংবাদিকদের সামনে বলছেন সিবিআই ঘুষ খেয়েছে রাজ্য সরকার টাকা পাঠিয়েছে কুণাল ঘোষ সেটেলমেন্ট করেছে, অথচ শুনানির সময় সেই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং চেয়ে পাঠাতে হচ্ছে? আজকের শুনানিতে ওনাদের রক্ষণাত্মক ও সময় নষ্ট করার কৌশলে প্রমাণিত যা বলেছেন ডাহা মিথ্যা বলেছেন। আজ না হলে কাল ধরা পড়বে।’

–

–

–

–

–

–

–

–