রাত পেরিয়ে সকাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় ধোঁয়াশা কাটছে না। শিক্ষাঙ্গনের চার নম্বর গেটের পাশের ঝিল থেকে আনুমানিক রাত সাড়ে দশটা নাগাদ অচেতন অবস্থায় ইংরেজি বিভাগের ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর কেটে গেছে প্রায় ১০ ঘণ্টা, এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের SFI নেতাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সূত্রের খবর ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। কিন্তু কার অনুমতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এত রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে সে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পাশাপাশি TMCP-র এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিও করা হয়েছে।

এই প্রথম নয় এর আগেও বারবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU) ক্যাম্পাসে অশান্তি থেকে অশালীন আচরণের অভিযোগ এসেছে। র্যাগিং কাণ্ডের পর বারবার তৃণমূলের তরফে ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা বলা হলেও ইউনিভার্সিটির ইউনিয়ন নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে তা হতে দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর আদালতের তরফে সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে এবার তা প্রকাশ্যে আসবে। শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁর থেকে কোনও উত্তর মেলেনি।তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য (Trinankur Bhattacharya) সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে এক ছাত্রীর মৃত্যুর খবরে আমি শোকস্তব্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে ৪ নং গেটের কাছে এসএফআই ইউনিউন রুমের পাশে। এটি অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। এইগুলো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। যাঁরা সিসিটিভি লাগানো ও পুলিশ পোস্টিং-এর বিরুদ্ধে, তাঁরা এর দায়ভার এড়াতে পারে না।’ কী কারণে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU ) ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে।

–

–

–

–

–

–

–

–
–