কলকাতা হাই কোর্ট থেকেই বিচারপতি জীবনকে বিদায় জানাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। আর সেই বিদায় সম্বর্ধনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় প্রধান বিচারপতি (Chief Justice)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কখনও বিচারবিভাগকে খালি হাতে ফেরাননি। শেষ বেলায় এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কলকাতা প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম (T S Sivagnanam)।

সোমবার অবসর নিচ্ছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তার আগে শুক্রবার বিকালে হাই কোর্ট (Calcutta High Court) লাগোয়া টাউন হলে রাজ্যের বিচার বিভাগ দফতরের পক্ষ থেকে তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক প্রধান বিচারপতি-সহ অন্যান্য বিচারপতিরা। ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত-সহ অন্য আধিকারিকেরা।

বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) বলেন, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কখনও বিচার বিভাগকে খালি হাতে ফেরাননি।’ একই সঙ্গে, বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনের মধ্যে একটা ভারসাম্য এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

যদিও তাঁর কলকাতায় বদলির পদ্ধতি নিয়ে কিছুটা অভিমানের সুর শোনা যায় বিদায়ী প্রধান বিচারপতির গলায়। তিনি বলেন, কেন আমাকে এখানে বদলি করা হয়েছিল সেটা আমি আজও জানি না। আমার মনে হয় বিচারপতি মাদুরেশ প্রসাদও (যিনিও এখানে বদলি হয়ে এসেছেন) জানেন না। তিনি বলেন, সম্প্রতি একজন বিচারপতি আমাকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, কেন তাঁকে এখানে বদলি করা হয়েছে। আমি তাঁকে বললাম যে আমার অবসর নিতে আর ১০ দিন বাকি, আমিই এখনও জানলাম না সেই কারণটি।

আরও পড়ুন: পাঁচ জেলার শিল্পীরা ফুটিয়ে তুলবে ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’: থিম প্রকাশ চেতলা অগ্রণীর

তবে কলকাতায় এসে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি, বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। যে কলেজিয়াম আমাদের বিচারপতি পদে বসায়, তাঁরাই আমাদের বদলি করে। আমার এটা নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাজ থেকে এখানে বদলির বিজ্ঞপ্তি ওখানকার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিবের ই-মেলে পাঠানো হয়েছিল। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে আপনি চাইলে ব্যাঙ্গালোর বা অন্য কোথাও যাওয়ার আবেদন জানাতে পারেন। কিন্তু আমি করিনি।’

–

–

–

–