বাড়িতেই রাখা ছিল ৯২.৫০ লক্ষ টাকা নগদ। সোনার গয়না প্রায় ১ কোটির টাকার। অসমের আইএএস আধিকারিক (IAS officer) নূপুর বোরার বাড়ি থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা উদ্ধারের পর প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বেআইনি জমি হস্তান্তর করানোর চক্র ফাঁস হতেই রাজ্যের আধিকারিকের উপর জমি হস্তান্তর নিয়ে ধর্মীয় রঙ লাগিয়ে পাশ কাটানোর চেষ্টায় তৎপর অসমের বিজেপি প্রশাসন।

বেআইনি জমি হস্তান্তর অসমে যে একটা বড় ইস্যু তা প্রমাণিত হয়েছিল আদালত পর্যন্ত মামলা গড়ানোতেই। বেআইনিভাবে জমি হস্তান্তরিত হলে তাতে সরকারি আধিকারিকদেরও হাত থাকবে, বলাই বাহুল্য। সেই সংক্রান্ত মামলায় বরপেটা (Barpeta) জেলার সার্কেল অফিসের আধিকারিকদের জমি জালিয়াতির পর্দাফাঁস হয় গুয়াহাটিতে একটি তল্লাশি অভিযানে। মূল অভিযুক্ত তৎকালীন বরপেটার সার্কেল অফিসার নূপুর বোরা (Nupur Borah)।

অসমের বিশেষ দুর্নীতি বিরোধী তদন্তকারী শাখার আধিকারিকরা গুয়াহাটিতে আইএএস আধিকারিক নূপুর বোরার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েই ২ কোটি টাকা নগদ ও গয়না উদ্ধার হয়েছে। একটি ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০লক্ষ নগদ। নূপুরের পাশাপাশি বরপেটার সেই দফতরের আরেক কর্মী লাল মণ্ডল সুরজিৎ ডেকার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। বরপেটার (Barpeta) বাসিন্দা এই কর্মী বেআইনিভাবে জমি কেনাতে অভিযুক্ত ছিলেন। ঘটনায় নূপুর (Nupur Borah) ও ডেকাকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: দায়ের খুনের অভিযোগ, যাদবপুরে তদন্তে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা

তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকা নিয়ে জমির পঞ্জি থেকে নাম বাদ বা নাম ঢোকানোর কাজ করতেন তাঁরা। জমির গুরুত্ব অনুযায়ী দেড় হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ পর্যন্ত ঘুষ দিতে হত। ভূমি দফতরের এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে এসে সরকারের মুখোশ খুলে দেওয়ার পরই মাঠে নামেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি দাবি করেন, আইএএস নূপুর বোরা হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি অন্য সম্প্রদায়কে হস্তান্তরিত করে দেওয়ায় অভিযুক্ত ছিলেন। তাই ছয়মাস ধরে তিনি তদন্তের আওতায় ছিলেন। বাস্তবে বরপেটার গোটা দফতরই যে ঘুষ নিয়ে জমি হস্তান্তরে জড়িত, সেই তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এবার ধর্মের রঙ জুড়তে ব্যস্ত অসমের বিজেপি প্রশাসন।

–

–

–

–

–