কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের বিরুদ্ধে ১৬ দফা অভিযোগ, উপযুক্ত তদন্ত দাবি

Date:

Share post:

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) রাজ্যপাল মনোনীত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে (Shanta Dutta Dey)। প্রতি পদে পদে তিনি ন্যায়-নীতি-আদর্শের কথা বলে বেড়ান। নিজেকে নীতিবাগীশ ও আদর্শবাদী বলে জাহির করেন। কিন্তু তিনি আসলে কী, কী ধরনের কাজ করে বেড়িয়েছেন, তা মানুষের জানার দরকার। তাঁকে কেউ কেউ মহান সাজাবার চেষ্টা করছেন। অনেক মিডিয়া তো কোমর বেঁধে লেগে পড়েছেন তাঁকে মহীয়সী বানাতে। কিন্তু তিনি কি আদৌ তার যোগ্য? সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। তাঁর কৃতকর্ম কিন্তু তাঁর মহীয়সী হয়ে উঠবার পরিপন্থী। শান্তা দত্ত দে তাঁর পদাধিকার বলে কী কী অনৈতিক কাজ করেছেন, তার দিকে ফিরে তাকালে চোখ কপালে উঠবে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক তার নীতি-আদর্শের আড়ালে কোন কোন দুর্নীতির জটাজাল ছড়িয়ে রয়েছে-
১) রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা লড়ার জন্য তিনি রাজ্যপালকে ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা সাহায্য করেছেন।
২) উপাচার্য হতে না হতেই দ্বিতীয় সিন্ডিকেট মিটিংয়ে নিজের স্বামী ডিআরএম জীবনকৃষ্ণ দে-কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন।
৩) দু’বছর ধরে মানবাধিকার কমিশনের ফলাফল আটকে রেখেছেন। ২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জন ছাত্রের রেজাল্ট আটকে রেখে তাঁদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। তিনি ভিসি থাকাকালীনই ওই পরীক্ষা হয়েছিল।
৪) ইউনিভার্সিটি ফান্ড থেকে ফিজ দিয়েছেন প্রফেসরদের, ইললিগ্যাল প্রমোশন করিয়েছেন, ইউনিভার্সিটি ফান্ড ড্রাই করে দিচ্ছেন।
৫) রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের অনুদান ১ পয়সাও খরচ হয়নি তাঁর অযোগ্যতার জন্য
৬) সিইউ নির্ফ র্যাংকিংয়ে চতুর্থ থেকে ৩৯ চলে গেছে ওনার দু’বছরের মেয়াদে।
৭) টিএমসিপি স্টুডেন্টদের টার্গেট করে রেজিস্টার করেছেন
৮) ইললিগ্যালি কনভোকেশন করেছেন অ্যাওয়ার্ড সেরিমোনির নাম দিয়ে। এবং তা করেছেন উচ্চশিক্ষা দফতরের অনুমোদন ছাড়াই।
৯) উচ্চশিক্ষা দফতরের অনুমোদন ছাড়াই অনৈতিকভাবে সমস্ত সিন্ডিকেট মিটিং করেছেন।
১০) বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকটি ডিন অ্যাক্টিং, কেউ পার্মানেন্ট নন। এনআরআই-রা সব সিন্ডিকেট মেম্বার।
১১) ইউনিভার্সিটি ফান্ড ড্রাই করে দিচ্ছেন
১২) সিপিএম-বিজেপি সমর্থিত নন টিচিং স্টাফদের ইললিগ্যাল প্রমোশন করিয়েছেন।
১৩) ইললিগ্যালি নিজেদের কাছের লোকদের নিয়ে পিএইচডি কমিটি গুলো ফর্ম করিয়েছেন।
১৪) বেআইনিভাবে হিউম্যান রাইটস কোর্সটা এনথোপোলজি ডিপার্টমেন্ট থেকে ল ডিপার্টমেন্টে শিফট করিয়েছেন। সেখানে বার কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়াই হিউম্যান রাইটস এলএলএম কোর্স করাচ্ছেন।
১৫) অনেক ইলিগ্যাল ফিনান্সিয়াল ডিসিশন নিচ্ছেন এবং ইউনিভার্সিটি এফডি ভেঙে গেছেন
১৬) ওবিসি আর এসসি-দের ওপর রিসার্চ করতে বাধা দিচ্ছেন।

এই পরিস্থিতিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যর বিরুদ্ধে যে গুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে, তার যথাযথ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। এই বিতর্কের মাঝেই সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অগ্রাহ্য করে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। এমনকী বুধবার স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তির কাউন্সেলিংও রাখা হয়েছে। ‌

spot_img

Related articles

শংসাপত্র জমা না দিলে সংরক্ষণের সুবিধা মিলবে না, জানাল এসএসসি

নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। উত্তরপত্রও ইতিমধ্যেই আপলোড করা হয়েছে। এরই মাঝে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল,...

উত্তরবঙ্গে হাতির গতিবিধি নজরদারিতে বিশেষ অ্যাপ চালু বন দফতরের 

উত্তরবঙ্গের জঙ্গলাঞ্চলে হাতির অবস্থান ও চলাচল নিয়ে এবার ডিজিটাল উদ্যোগ নিল রাজ্য বন দফতর। কার্শিয়াং বনবিভাগ ও একাধিক...

ঘোষিত বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০২৫: তালিকায় সেরার সেরা থেকে সাবেকি, ভাবনা-সহ ৮ বিভাগ

পঞ্চমীর বিকেলেই ঘোষিত এবছরের বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান (Biswa Bangla Sharod Samman) প্রাপকদের নাম। প্রতিবছর ষষ্ঠীর বোধন বেলায়...

চিত্রার কী পরিণতি, জানা যাবে খুব শিগ্গির: পুজোর পরেই শেষ ‘কথা’ ধারাবাহিক

দুই নব সদস্যের পরিচয় নিয়ে অনেক টালবাহানার পরে অবশেষে কিছুটা শান্তি ফিরেছে গুহ পরিবারে। কিন্তু শান্তি এই পরিবারে...