বাংলা জুড়ে আছে ঐতিহ্য সমাহার। বাংলার কোনায় কোনায় ছড়িয়ে আছে ধ্রুপদী বিভিন্ন বিষয় তার মধ্যে অন্যতম বাইচ প্রতিযোগিতা। মূলত সীমান্ত অঞ্চলে এই প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা সীমাবদ্ধ। কিন্তু লুপ্তপ্রায় এই বাইচ প্রতিযোগিতাকেই বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছেন সীমান্ত অঞ্চলের এক দল ছাত্র যুব।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ছাত্র-যুবরা। বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকের স্বরূপনগর-বাঙলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠেরপোল এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সোনাই নদীতে আয়োজিত হলো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।

নদীমাতৃক গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতা ছিল নৌকা বাইচ। যার সাথে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। কিন্তু কালের নিয়মে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছিল সেই ঐতিহ্য। তাই বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যাগী হয়েছেন সুজন, সঞ্জীব, রতন ও প্রীতমদের স্থানীয় বহু ছাত্র-যুব।

মূলত তাদের প্রচেষ্টাতেই এই বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন স্বরূপনগর বাঙলানী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বর্ণালী সরকার ও তেঁতুলিয়া মৎস্যজীবী গোষ্ঠীর সদস্যরা।এই বাইচ প্রতিযোগিতায় মহিলা নৌকা বাইচ আরোহীরাও অংশগ্রহণ করেন।

হালিশহর, হাড়োয়া, সন্দেশখালি, স্বরূপনগর ও বাদুড়িয়া সহ জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় ৩০টি দল এখানে অংশগ্রহণ করে। যা দেখতে সোনাই নদীর ভিড় জমান বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে আগত ২০-২৫ হাজার মানুষ। যার ফলে এখানে এক মেলার পরিবেশের সৃষ্টি হয়।এই বাইচ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো।

এই প্রতিযোগিতার অন্যতম উদ্যোক্তা রতন বিশ্বাস বলেন, “বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচাতে স্থানীয় সমাজসেবী সঞ্জীব পালের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই বাইচ প্রতিযোগিতা করে চলেছি।

প্রতিযোগিতাতে অংশ নেওয়া এক মহিলা প্রতিযোগী “আমরা নারী, আমরা এই বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করলাম যে ছেলেদের সঙ্গে আমরা পাল্লা দিয়ে যেকোনো কাজ করতে পারি। আমরা কোনো অংশে তাদের থেকে কম যাই না।”

–

–

–
–
- –