দেশের শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ার ইঙ্গিত কেন্দ্র সরকারের রিপোর্টে। কেন্দ্রের সরকারের সুষ্ঠু কৃষিনীতি নেই। জিএসটির (GST) ভারে ব্যবসা-বিমুখ দেশের যুব সমাজ। কেন্দ্রের সরকার তথা ডবল ইঞ্জিন (double engine) সরকারগুলিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধের ছবি স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থা থেকে কলকারখানাই দেশের মানুষের চাকরির ভরসা। ঠিক সেটাই প্রতিফলিত হল কেন্দ্রীয় শ্রম দফতরের পরিসংখ্যানে। পুরুষ থেকে মহিলা, সব লিঙ্গেই গ্রাম থেকে শহরে সংস্থায় নিযুক্ত হয়ে কর্মী হওয়ার সংখ্যা বাড়ল গোটা দেশে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে যেখানে ৫.২ শতাংশ দেশবাসী কোনও সংস্থায় নিযুক্ত না হওয়া অবস্থায় ছিলেন (unemployed), সেই সংখ্যা অগাস্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.১ শতাংশে। অর্থাৎ নিয়োগ না হওয়ার সংখ্যা কমেছে। এর মধ্যে পুরুষের নিয়োগ না হওয়ার পরিমাণ জুলাইয়ের ৬.৬ শতাংশ থেকে কমেছে ৫.০ শতাংশে।

আরও পড়ুন: কোথায় অস্ত্র নামিয়ে রাখা! মাওবাদীরা ফের খুন করল সাধারণ গ্রামবাসীকে

পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও যে ঘর ছেড়ে কাজে যোগ দিতে আরও বেশি বাধ্য হচ্ছেন, তার প্রমাণ কাজে যোগদানে মহিলাদের হারে বৃদ্ধি। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র এই হার একই রকমভাবে বেড়েছে। জুন মাসে যেখানে ৩০.২ শতাংশ মহিলারা কাজে যোগ দিতেন, সেখানে অগাস্টে যোগ দিচ্ছেন ৩২ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের যোগ দেওয়ার হার জুন মাসের ৩৩.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫.৯ শতাংশ হয়েছে। শহরাঞ্চলে পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের কাজে যোগ দেওয়ার পাল্লাটা যদিও এখনও খানিকটা কম। সেখানে জুনের ২২.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩.৮ শতাংশ।

–

–

–

–

–

–