পেপারলেস হাইকোর্ট প্রকল্প চালু হলেও এখনও সেটা গতি পায়নি। এই নিয়ে বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার একটি শুনানি ছিল।
মামলায় বুধবার একটি রিপোর্ট দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।

রাজ্যের নিম্ন আদালত ও কলকাতা হাই কোর্টের ঝুলে থাকা ১৪ টি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ওই টাকা অনুমোদনের জন্য অর্থ দপ্তরে কাছে ফাইলও পাঠানো হয়েছে বলে হাই কোর্টে জানাল রাজ্য।

হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের মোট ১৪টি প্রকল্পের বকেয়া ৫০ কোটি টাকা ছাড়তে অর্থ দফতরে ফাইল পাঠানো হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।

কিন্তু তাতে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারলেন না বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।

এনিয়ে দায়ের হওয়া এই সংক্রান্ত আরও ৫৩ টি ফাইল পাঠানো হয়েছে রাজ্যের কাছে। সেগুলির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কিনা তা জানতে চায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। এ নিয়ে হাইকোর্টকে অবগত করতে সাতদিন সময় চেয়েছেন মুখ্যসচিব।

মুখ্যসচিব তখন হাইকোর্টের কাছে ৭ দিন সময় চান। তিনি বলেন, “৭ দিন সময় দিন। আমি গোটা ব্যাপারটায় নিজে নজর রাখছি।” ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “আপনি নিশ্চিত করুন আগামী শুনানিতে যেন আমাদের আপনাকে আর ডাকতে না হয়।”

আদালত অবশ্য জানতে চেয়েছে, কেন রাজ্যের কোনো জেলায় নিম্ন আদালতের নিত্যদিনের খরচের জন্যে কোন ফান্ড নেই। এই নিয়ে মুখ্যসচিব উত্তর দেবেন।
বিচারপতি বসাকের বক্তব্য, জেলায় পাঁচ লাখ টাকা প্রশাসনিক কাজের জন্য দেওয়ার কথা। কিন্তু এখনও আড়াই লাখ দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা শেষ। জেলায় নেট সিস্টেম বসে গেছে। সেই কাজ করা যাচ্ছে না। অফিস স্টেশনারি কেনারও টাকা নেই কোনো জেলায়। আন্দামানে একমাত্র আছে। সেটা আপনাদের মধ্যে পড়ে না।আদালত মুখ্যসচিবকে বলেন, পেপারলেস হাইকোর্ট করার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা ক্লোজ মনিটর করছি।

বিচারপতি একই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন,, আমাদের জেলা ও হাইকোর্টে কর্মীর প্রয়োজন। আপনাদের কাগজ পাঠানো আছে। আপনাদের দুজন অফিসার সমন্বয়ের জন্য দেওয়ার কথা প্রশাসনিক বৈঠকে বলা হয়েছিল। তার কি হলো, যারা পেনসন সহ ব্যাপারগুলো দেখবেন।

মুখ্যসচিব জানান, এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা মামলা রয়েছে। পে কমিশন নিয়ে একটা মামলা চলছে।

–
–
–
–


