স্কুল ছাত্রীর নৃশংস ধর্ষণ-খুন ধৃত শিক্ষক (Teacher)। অপহরণের অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় পুলিশ (Police)। টানা জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে মূল অভিযুক্ত। ২০ দিন নিখোঁজ থাকার পরে শিক্ষকের বয়ান অনুযায়ী ওই নাবালিকার টুকরো করা বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২৮ অগাস্ট ওই ছাত্রীর (Student) পরিবার রামপুরহাট থানায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করে। তার ভিত্তিতে স্থানীয় এক শিক্ষক মনোজ পালকে রামপুরহাট থানার পুলিশ সময় আটক করে। লাগাতার দুদিন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়েন তিনি। পুলিশের কাছে স্বীকার করেন ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে খুন করেছেন। নাবালিকাকে খুনের পর তার দেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন টুকরো করে বস্তায় ভরে স্থানীয় একটি কালভার্টের নীচে ফেলে রেখেছেন।

বুধবার ভোর রাতে রামপুরহাট থানার পুলিশ অভিযুক্তকে শিক্ষককে (Teacher) সঙ্গে নিয়ে ওই কালভার্ট এর কাছে গিয়ে ছাত্রীর দেহাংশ উদ্ধার করে। পুলিশ মোট দুটি বস্তা পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একটি বস্তার মধ্যে নাবালিকার মাথার অংশ ছিল। অন্য বস্তাটিতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রাখা ছিল। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত এই শিক্ষককে রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক ৯দিনের পুলিশে হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী আদিবাসীদের সুবিচার পাওয়ার জন্য যে ধারা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে সেই ধারাতেই মামলা শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করা হবে আদালতে। মামলার গুরুত্ব বুঝে সরকারি আইনজীবীর পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে স্পেশাল আইনজীবী নিয়োগ করা হবে।

রামপুরহাট বিধানসভার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। রাজ্যের পুলিশ মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ এলে হাত গুটিয়ে বসে থাকে না। এই ছোট্ট মেয়ের অপহরণের অভিযোগ পেতেই পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল রহস্য উন্মোচনায়। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হবে আমরা সেই আশা রাখি।

–

–

–

–

–