বৎসরান্তে ছেলেমেয়ে, বাহন-সহ বাপের বাড়ি আসেন দুর্গা। তবে, পিছু পিছু আসেন চিরশত্রু মহিষাসুরও। তাঁকে ছাড়া পুজো (Durga Puja) অসম্পূর্ণ। শান্তশিষ্ট দেবদেবীদের মধ্যে তিনিও একমাত্র ম্যাচো ম্যান। প্রতিবার আসেন। অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে খুন হন। আবার পরের বছর আসেন। এই রকম চলছে প্রায় ২হাজার বছর ধরে। এবার নিজের কারিকুলাম ভিটা আপডেট করছেন মহিষাসুর। তাহলে কি নতুন চাকরি খুঁজছেন? মিম স্যোশাল মিডিয়া জুড়ে। তা দেখে ভারী মজা পেয়েছেন নেটিজেনরা।

একেবারে দস্তুর মতো CV আপডেট করেছেন মহিষাসুর। এক একটি পোস্টারে এক একটি গুণ। কী কী লেখা সেখানে?
“মহিষাসুর কাজ করতে ইচ্ছুক
২০০০+ বছর ধরে ‘প্রতিটি পুজোয় হত্যা’। একই ভূমিকায় থাকার পরে আমি আমার জীবনবৃত্তান্ত আপডেট করছি।“
“ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য দিক
ইন্দ্রকে পরাজিত করে চাকরি গ্রহণ
চণ্ডীপাঠ সত্ত্বেও ২০০০ বছর ধরে জীবিত
পুজোর সাংস্কৃতিক প্রতীক“
“দক্ষতা ও বিশেষত্ব
উন্নত আকৃতি পরিবর্তন
লোক নিয়ন্ত্রণ (একসময় স্বর্গরাজ্য শাসন করেছিলেন)
স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তন (প্রতি বছর মারা যায়, এখনও দেখা যায়)“

আ

কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত নয়, নির্মল আনন্দেই এই সব মিম ঘুরছে। বাঙালির দুর্গাপুজো নেহাত ধর্মীয় অনুশাসনে বাঁধা কোনও রীতি নয়, সেটি একেবারেই উৎসব। বিবাহিত কন্যার শ্বশুরবাড়িতে থেকে বাপের বাড়িতে আসার আখ্যান। বাঙালির দুর্গাপুজো (Durga Puja) অন্নদামঙ্গলের লৌকিক। ম্যাচো ইমেজের মহিষাসুর কিন্তু কার্তিকের তুলনায় কোনও অংশে কম আকর্ষণীয় নন। তাঁর সিক্স প্যাক অ্যাবে চোখ যায় অনেক তরুণীর। সেই কারণে মহিষাসুর বধ হলেও, বিজয়ায় তাঁর মুখে (এমনকী নাকেও) সন্দেশ ঠুসে দেওয়া হয় বরণের সময়। সেই মহিষাসুর ২০০০ বছরে চাকরির পরে এবার সিভি আপডেট করছেন- মিম ছড়িয়েছে নেট দুনিয়ায়।

–

–

–

–

–

–
–