অভিজিৎ ঘোষ

তিন ঘোষকে নিয়ে গান বাঁধার পর অনির্বাণরা এখন ফেসবুক ভাইরাল। বিস্তর আলোচনা, নানা ট্যারাব্যাঁকা সমালোচনা। হুলি গান ইজম (Hooli-gaan-ism), মানে অনির্বাণদের (Anirban Bhattacharya) দল যে আলোচনাতেই থাকতে চায়, তা তাদের নতুন গানের কথাতেই স্পষ্ট। অনেকটা এইরকম, তুমি আমায় অপছন্দ করতে পার, কিন্তু উপেক্ষা করতে পারবে না।

অনির্বাণ এবার সরাসরি চটিচাটা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন। কাকে বললেন? শ্লেষের তীর কার বা কাদের দিকে? শুধু তাই নয়, ফেসবুক বিপ্লবীদের দিলেন চরম ছ্যাঁকা।

আগের বার তিন ঘোষ নিয়ে কি গেয়েছিল হুলি গানরা। তিনের একজন কুণাল ঘোষ নিয়ে লিখেছিল, এই আমাদের দোষ/ গান-বাজনা করতে এসে/ এসব কথা বললে/ রেগে যাবে কুণাল ঘোষ।

দ্বিতীয় জন দিলীপ ঘোষ। তাকে নিয়ে হুল ফোটানো হয়েছিল এভাবে…, আর এক ঘোষও আছে/দাদা খুবই রোম্যান্টিক/ঘোষ দিয়ে যায় চেনা/ গয়না দোকান সব তুলে দাও/ গরুর দুধে সোনা।

এবং তৃতীয় জন শতরূপ ঘোষ। তার জন্য অনির্বাণদের বরাদ্দ ছিল এইরকম… ওই বিপ্লবীদের পার্টি/ আর এক ঘোষও আছে/টিভির চ্যানেল পার্টি অফিস/ বড্ড হাঁটাহাঁটি/তাই কিনেছে গাড়ি/দামটা বড্ড বেশি/ফেসবুকেরই রাজা মোদের/ দাদা শতরূপ।

এসব করার পর ফেসবুকের বিপ্লবীদের কেমন অ্যাপ্যায়ন পেয়েছিলেন? অনির্বাণরা লিখিছেন, সবাই করল মস্তি/সবার মুখে জাতীয় ভাষায় খিস্তি। বিপ্লবীদেরও চরম শ্লেষ।

আরও পড়ুন: মাননীয় রানা সরকার, ভয় তো আপনারা পেয়েছেন

তিনজনই খবরে থাকেন। তাদের নিয়ে কবিতা-গান গাওয়ার পর, যেভাবে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল, তাতে মনে হয়েছিল, এবার একটু সমঝে চলবে হুলি গানরা। কিন্তু কোথায় কী? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) এক শ্রেণির মিডিয়াকে চটিচাটা বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। কবিতা-গানে তুলে এনে এবার অনির্বাণরা (Anirban Bhattacharya) আরও সাহসী। কী লিখলেন… আমরা হবো বিপ্লবী/আর সবাই চটিচাটা… বিপ্লবী কারা? কিংবা চটিচাটা? এ যে শুভেন্দুকে লক্ষ্য করে চরম তাচ্ছিল্যের শ্লেষ। বাংলার রাজনীতিতে কুকথার রাজনীতিকদের চরম ধিক্কার গানে। এবার ফেসবুক বিপ্লবীরা কী বলেন সেটাই দেখার!

–