সতর্কতা ছিল। সেই মতো পদক্ষেপ নিয়েছিল হংকং প্রশাসন। তা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না মৃত্যু মিছিল। টাইফুন রাগাসা-র দাপটে হংকং-এর (তাইওয়ানে (Taiwan) মৃত অন্তত ১৪ জন। নিখোঁজ প্রায় ১৫০।

সোমবার থেকে টাইফুনের (typhoon) সতর্কতা জারি করেছিল হংকং প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করার পাশাপাশি প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে দোকানপাট, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায় ‘সুবাসিত বন্দরে’। উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রের ঢেউ ২ মিটার পর্যন্ত ওঠার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে টাইফুন ডাঙায় আছড়ে পড়া শুরু হতেই ধ্বংস লীলা শুরু হয়ে যায়।

আবহাওয়া দফতর রাত ২.৩০ থেকে ল্যান্ডফলের সময় জানিয়েছিল। ভোর ৩টের সময় তাইওয়ান শহর থেকে ১০০কিমির দূরে ছিল রাগাসা। সেই সময় তার গতিবেগ ২৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা ছিল। যা সকাল ৭টায় ল্যান্ডফলের সময়ে ১২০কিমি প্রতি ঘণ্টা দাঁড়ায়। তা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না বিপর্যয়।

তাইওয়ান (Taiwan) শহরের হাউলিয়েন কাউন্টি এলাকা দিয়ে রাগাসা টাইফুন (typhoon Ragasa) পেরোনোর সময় ধ্বংস লীলা চালায়। একটি হ্রদের জল সম্পূর্ণ তুলে নিয়ে কাউন্টি এলাকার উপর ঢেলে দেয়। ঠিক যেন এক বালতি থেকে জল নিয়ে আরেক বালতিতে ফেলা। জলের উচ্চতা ছিল ৫ মিটার পর্যন্ত। এর জেরে ঘটনাস্থলেই ১৪ জনের মৃত্যু হয়। ১৮ জন গুরুতর আহত। খোঁজ নেই কাউন্টির ১২৪ বাসিন্দার।

আরও পড়ুন: জলযন্ত্রণা কাটিয়ে কেমন আছে কলকাতা? দুর্যোগের চিন্তা কাটছে না শহরবাসীর!

হংকং প্রশাসন জানাচ্ছে, বিপর্যয় এখনও কাটেনি। প্রবল বৃষ্টিতে জেরবার গোটা বন্দর রাষ্ট্র। বৃষ্টি কমলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক অনুমান করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই সেই ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

–

–

–

–