উত্তরবঙ্গজুড়ে বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত জনজীবন। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার—সব জেলাতেই চলছে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মোট ৩৭টি ত্রাণ শিবির চালু রয়েছে, যেখানে এখন পর্যন্ত ৮,৮৫৯ জন দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পাশাপাশি দুর্গতদের জন্য চালু হয়েছে ৪৯টি ‘গ্রুয়েল কিচেন’, যেখানে প্রতিদিন খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি জেলায় সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে ২৩টি ত্রাণ শিবিরে ৭,৮১২ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন এবং ৩২টি কমিউনিটি কিচেন চালু রয়েছে। আলিপুরদুয়ারে ৫টি শিবিরে ৬৬০ জন, দার্জিলিঙে ৮টি শিবিরে ৩২৭ জন এবং কোচবিহারে ১টি শিবিরে ৬০ জন দুর্গত মানুষ রয়েছেন। ইতিমধ্যেই দুর্গতদের মধ্যে ৬৪,০১৫টি ত্রিপল বিতরণ করা হয়েছে, যার মধ্যে শুধু জলপাইগুড়িতেই ৩৯,০০০টি ত্রিপল দেওয়া হয়েছে।

নবান্নের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উদ্ধার ও পুনর্গঠন অভিযান চলছে পূর্ণোদ্যমে। নদীসংলগ্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ও রাস্তাঘাট মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। মাঠে নেমেছেন পূর্ত, জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য কারিগরি, সিভিল ডিফেন্স, অগ্নিনির্বাপন, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কর্মীরা। কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে লাইফ জ্যাকেট, আর দুর্গত এলাকায় নিশ্চিত করা হয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের যোগান।অধিকারিকদের দাবি, প্রশাসনের লক্ষ্য এখন একটাই—যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং দুর্গত মানুষদের ঘরে ফেরানো।

আরও পড়ুন – ফুলচাষে নয়া দিগন্ত: নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উৎকর্ষ কেন্দ্র দার্জিলিং ও নদীয়ায়

_

_

_

_

_

_
_


