জন্মদিনে ত্রিপুরা যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানে একটি কাপ কেক থেকে সহযোদ্ধাদের খাওয়াকে ইস্যু করে কদার্য আক্রমণ করে গেরুয়া শিবির। বুধবারের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় অভিমান প্রকাশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী জঙ্গলকন্যা বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। তাঁর কথায়, “আমি আদিবাসী মেয়ে বলে আমার কেক খাওয়াটা ওদের গায়ে লেগেছে“।

গণতন্ত্র নেই ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে। বুধবার, দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া বাংলা তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধিদলকে আগরতলা বিমানবন্দরের (Airport) আটকায় বিজেপি সরকারের ত্রিপুরার পুলিশ। পরে তৃণমূলের জেদের কাছে হার মেনে যাতে দেয় তারা। রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে জন্মদিন উপলক্ষ্যে নিজের সহযোদ্ধাদের কাপকেক খাইয়ে মিষ্টিমুখ করান বাংলার মন্ত্রী বীরবাহা (Birbaha Hansda)। নিজেদের দোষ ঢাকতে সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে কুৎসা ছড়ানো অপচেষ্টা করে গেরুয়া (BJP) শিবির। অগ্নিমিত্রা পল-সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব বীরবাহার কেক কাটার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।

এদিন পাল্টা তার জবাব দেন বীরবাহা। বলেন, “ভোর চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। বিমানবন্দরে পৌঁছলাম। খুব খিদে পেয়েছিল। আমি কাপ কেক কিনেছিলাম। সহকর্মীরা আমাকে শুভ জন্মদিন বলে। আমার খাওয়া কেক একটু করে খাইয়েছিলাম। আমার খারাপ লাগল। আমি আদিবাসী মেয়ে বলে আমার কেক খাওয়াটা ওদের গায়ে লেগেছে।”
আরও পড়ুন:সামনে SIR-আড়ালে NRC! বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর, নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে তোপ

এর পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে নিশানা করে বীরবাহা বলেন, “দিনের পর দিন পার্টি অফিস, রাস্তাঘাটে মোদির জন্মদিন পালন করা হয়, তখন কেউ আপত্তি করে না। কারণ, তিনি তো আদিবাসী নন। আমি আদিবাসী তাই কেক খাওয়া বারণ। আমি ভদ্রতার খাতিরে কেক খাইয়েছি। ওদের রুচিবোধ নেই। তাই ছোট্ট জিনিসকে ভাইরাল করা হচ্ছে। দিল্লিতে বসে থাকা বিজেপি নেতারা এদের দিয়ে বাংলা দখল করার ভাবছেন। এদের দিয়ে আর যাই হোক বাংলা দখল হবে না। এটা দিল্লির বিজেপি নেতারা যত তাড়াতাড়ি বোঝে, সেটাই মঙ্গল।”

এদিনও বিজেপির কুৎসার তীব্র প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, “বাড়ির বাইরে ছোট্ট কাপকেক খাওয়া অপরাধ হলে বিজেপি নেতাদের আধার কার্ডে যে ঠিকানা লেখা আছে, তার বাইরে কোথাও জন্মদিন পালনের অধিকার নেই। কেক যেন না কাটেন তাঁরা। শুভেন্দু আগেই বিজেপির মানসিকতা বুঝিয়ে দিয়েছেন। উনি আগেই বলেছেন, বীরবাহা জুতোর নিচে থাকবে। সে জায়গা থেকে বীরবাহার অভিমান হচ্ছে।” এই ভিডিও যাঁরা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তাঁদের বীরবাহার পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তৃণমূল নেতা।

–

–

–

–

–