বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের অগ্নিকাণ্ডে (fire incident) মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের (migrant worker)। শুক্রবার গভীর রাতে মারা যান তাজিবুর শেখ (৩০)। তাঁর মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ। এখনও দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

গত সোমবার গভীর রাতে বেঙ্গালুরুর রামনগর জেলার বিডাডি এলাকায় ঘরে সিলিন্ডার লিক করে আগুন লেগে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন মুর্শিদাবাদের সাত জন পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনার সময় তাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রান্নার পর গ্যাস সিলিন্ডারের নব বন্ধ করতে ভুলে যান তাঁরা। রাত আনুমানিক ২টার সময় এক শ্রমিক জ্বলন্ত বিড়ি মুখে নিয়ে ঘরে ঢোকেন। তৎক্ষণাৎ সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

প্রথমে তাঁদের ভর্তি করা হয় স্থানীয় ভিক্টোরিয়া সরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মারা যান হরিহরপাড়ার জাহিদ আলি (৩৫), বহরমপুরের সাফিজুল শেখ (৩৫), মিনারুল শেখ (৩৬) ও জিয়াবুর শেখ (৩৫)। সেদিনই গভীর রাতে মারা যান তাজিবুর শেখ।

এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বহরমপুরের পাঁচপীরতলার হাসান মল্লিক ও নগড়াজল টিকটিকিপাড়ার নুর জামাল শেখ। হাসানের শ্যালক মহম্মদ মিরাজ, যিনি নিজেও পরিযায়ী শ্রমিক, জানিয়েছেন, “জামাইবাবুকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল থেকে সেন্ট জন্স মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছে। কিন্তু শনিবার সকালে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।” আরও পড়ুন : ট্রাম্পের ‘ভুল’ শিক্ষানীতি: আমেরিকা ছাড়ছেন অভিজিৎ-ডাফলো

পরিবারগুলোর আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের তরফে আসিফ ফারুক জানিয়েছেন, “মৃতদেহগুলি দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি।” বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে যোগাযোগ করেছি। মৃতদেহ ফেরানোর জন্য যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।” এই মর্মান্তিক ঘটনায় মুর্শিদাবাদের গ্রামগুলিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও আবাসন ব্যবস্থাপনার প্রশ্নে ফের একবার উঠে এসেছে গুরুতর প্রশ্ন।

–

–

–

–

–