টালিগঞ্জের (Tollygunge) চন্ডী ঘোষ রোড, এলাকার একটি বাড়িতে সারমেয়েদের এবং বিড়ালদের, আগলে রাখার ও দেখভাল করানোর নামে অকথ্য অত্যাচার করা হয়। পেট ক্রেশে পোষ্য পার্সিয়ান ক্যাটকে রেখে বাইরে গেছিলেন অভিযোগকারী, ফিরে এসে ক্রেশ থেকে যে বিড়াল দেওয়া হয়, সেটি তাঁর নয় বলে জানান তিনি। সেই থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। এরপরেই গতকাল সেখানে ওই পেট ক্রেশে হাজির হন পশুপ্রেমী সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee) ও অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত (Debolina Dutta)। নিখোঁজ পোষ্যের মালিক সম্পর্কে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ভাইজি। এই বিষয়ে সুদীপা চট্টোপাধ্যায় জানান, বিড়ালের মালিকেরা কিছুদিনের জন্য দুবাই বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেই কারণেই তাঁরা বিড়ালটিকে ক্রেসে রেখে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ওরা দুবাই বেড়াতে যাবে বলে আমার কাছেই একটি ভাল শীততাপ নিয়ন্ত্রিত জায়গার কথা জিজ্ঞেস করেছিল যেখানে ওরা নিজেদের পোষ্য বিড়ালকে রাখতে পারবে।’ নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ভিডিও করে এদিন তিনি গোটা বিষয়টি জানিয়ে প্রশ্ন তোলেন চারপেয়ে অবলা প্রাণী বলে কি তাদের প্রাণের কোন দাম নেই? তাদের সুরক্ষার জন্য কেউ পাশে দাঁড়াবে না? আরও পড়ুনঃ যোগী রাজ্যে ধর্মীয় স্থানে হানা, মৌলবির স্ত্রী ও দুই কন্যা খুনে আতঙ্ক

নিজের ভিডিওতে অভিনেত্রী অভিযোগ করেন তাদের পার্সিয়ান ক্যাটকে, ওই বাড়িতে মেরে বাড়ির পেছনে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। সেই বাড়িটিতে এতটাই বাজে গন্ধ এবং কুৎসিত পরিস্থিতি যে প্রাণ ওষ্ঠাগত সুদিপার। জানা গিয়েছে জায়গাটির নাম মৌস প’স টেইল। গতকাল তারা যখন সেখানে ছিলেন পাঁচ মিনিট ঠিক করে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না এতটাই বিশ্রী গন্ধ ছিল। এলাকার মানুষ ওদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সেই কথাও জানান তিনি। কেউ যদি ঐ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন, তাঁর অসীম ক্ষমতা তিনি মনে করবেন।

অভিনেত্রী সাফ জানান ওই বাড়ির পুরুষ মানুষ পালিয়ে গিয়েছে। সেই বাড়ি থেকে মহিলাটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিড়ালটিকে মেরে ফেলার পর ‘গজু’কে আনতে গিয়ে তাঁরা এই করুন অবস্থা দেখতে পান। এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, তারা দুর্গন্ধর চোটে, বাড়ির দরজা জানলা খুলতে পারেন না। বিড়ালটিকে ওরাই মেরে পেছনের বাগানে পুঁতে দিয়েছে এই ব্যাপারে নিশ্চিত সুদিপা। তিনি জানান কিভাবে অনৈতিক ব্রিডিং চলে সেখানে। দুর্গন্ধের চোটে পুলিশের জন্যও সেখানে ঢোকা দুঃসাধ্য হয়ে গিয়েছিল। সুদিপা জানান তিনি রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশকে বাধ্য হয়ে তিনি বলেছেন যাদেরকে গ্রেফতার করছেন তাদেরকে যেন ছেড়ে না দেওয়া হয়। তারা ক্রিমিনাল। এদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।

এদিনের ভিডিওতে সুদীপাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”এখানে দুইজন বয়স্ক মানুষ থাকেন। মেয়েটির মা এবং তার পিসি। তাদের যে কি করুন পরিস্থিতি, এদেরকে বলেই ফেললাম যে কুকুরদের আগে তো আপনাদেরকে রেস্কিও করা দরকার। সেখানে যে ৪ পেয়ে সন্তানরা রয়েছে, তাদের মালিকদের উদ্দেশ্যে বলছি, ওদেরকে ওখান থেকে বের করে নিয়ে যান। আর আমিও চেষ্টা করছি, সেখান থেকে কিছু বাচ্চাকে এডপ্ট করার।”

অভিনেত্রীর তথ্য অনুযায়ী ১৫ দিন অন্তর করে একটি করে বাচ্চা মারা যেত, একটি কবরের উপর সিমেন্ট দিয়ে আরেকটি বাচ্চাকে কবর দেওয়া হতো। বেসবল স্টিক দিয়ে প্রচন্ড পরিমান মারধর করা হত প্রাণীগুলোকে। ওখানে মাংস দিতে আসে যে ছেলেটি, তাঁকে ধরে তাঁর বক্সটা খুলতেই, দেখা যায় সেখানে নারী ভুঁড়ি আর মাংসের ছাট রয়েছে।

–

–

–

–

–


