ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের (gang rape) অভিযোগ দায়ের হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার সব অভিযুক্ত। রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন ধর্ষণের মতো ঘটনায় জিরো টলারেন্স (zero tolerance)। সেই মতোই সোমবার গ্রেফতার শেষ অভিযুক্ত। যদিও পুলিশের হাতে এখনও আটক নির্যাতিতার (rape victim) সঙ্গী। বয়ানে অসঙ্গতির কারণে এখনও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর প্রয়োজন অনুভব করছে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের (ADPC) পুলিশ। অন্যদিকে হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা সোমবার অনেকটা ভালো বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

নারী নির্যাতনের যে কোনও ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তির প্রচেষ্টা একমাত্র বাংলাতেই হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুর্গাপুরের বেসরকারি কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার ক্ষেত্রেও যে পুলিশ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে তা ছিল অবধারিত। রবিবার জঙ্গল থেকে আটক করা হয়েছিল চতুর্থ অভিযুক্তকে। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার গ্রেফতার হয় পঞ্চম অভিযুক্ত শেখ সফিকুল।

মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে গ্রেফতার করা হয় সফিকুলকে। ঘটনার পরে দুর্গাপুরের (Durgapur) গোপালমাঠ এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার চতুর্থ অভিযুক্ত নাসিরুদ্দিন ও সফিকুলকে আদালতে পেশ করে পুলিশ। হেফাজতে নেওয়ারও আবেদন করা হবে।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুর গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ১: ড্রোন উড়িয়ে জঙ্গলে তল্লাশিতে ধৃত

গোটা ঘটনায় বিজেপির ভূমিকার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে নির্যাতিতার মেডিক্যালের ভবিষ্যৎ। বিজেপির তরফ থেকে বিরোধী দলনেতা পরিবারকে চাপ দিচ্ছেন মেয়েকে ওড়িশায় (Odisha) নিয়ে যেতে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারি পড়ার (medical student) মাঝে তার পড়াশোনা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে নির্যাতিতার সঙ্গীর ভূমিকা নিয়েও। তার গতিবিধির সন্দেহের কারণে তাকে তিনদিন ধরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও চালাচ্ছে পুলিশ।

–

–

–

–

–