শনিবার অভিযোগ দায়েরর পর থেকেই আটক দুর্গাপুরের নির্যাতিতা ছাত্রীর সঙ্গী। মঙ্গলবার দিনভর তাকে নিয়ে ঘটনার পুণর্নির্মাণ (reconstruction) পুলিশের। সংগ্রহ তার পোশাক। কার্যত জটিলতর হওয়া দুর্গাপুরের মেডিক্যাল ছাত্রীর গণধর্ষণের (gang rape) অভিযোগে নতুন মাত্রা যোগ করল নির্যাতিতার সঙ্গীর ভূমিকা। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধরি (Sunil Chaudhary, CP) স্পষ্ট দাবি করলেন, নির্যাতিতার সঙ্গী সন্দেহের ঊর্ধ্বে নেই। সেই সঙ্গে স্পষ্ট জানান, যৌন নির্যাতনের (sexual assault) যে অভিযোগ তা একজনের দ্বারাই হয়েছে।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট (ADPC) মঙ্গলবার দিনভর পরাণগঞ্জের জঙ্গলে ঘটনার পুণর্নির্মাণ করে। সেখানে এক অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হলেও মূল জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয় নির্যাতিতার সঙ্গীকে। তাকেই সবকিছু খুঁটিয়ে প্রশ্ন করেন ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা (Abhishek Gupta, ACP)। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার সংগ্রহ করা হয় নির্যাতিতার সঙ্গীর পোশাক।

এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধরি। তিনি জানান, নির্যাতিতার বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে এদিন। সেই বয়ানের সঙ্গে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ মিলিয়ে দেখে দেখা গিয়েছে নির্যাতিতার সঙ্গীর ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুর গণধর্ষণের অভিযোগের পুণর্নির্মাণ: আনা হল নির্যাতিতার সঙ্গীকে!

ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ। এরপরই সকালে পোশাক সংগ্রহ করা হয় দুই অভিযুক্তের। সেই সঙ্গে পোশাক সংগ্রহ করা হয় নির্যাতিতার সঙ্গীর। এবার নির্যাতিতার শরীর থেকে পাওয়া নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে সেই নমুনা, জানালেন পুলিশ কমিশনার।

–

–

–

–

–