২৫০-র বেশি আসন নিয়ে ছাব্বিশে ক্ষমতায় তৃণমূল, ঝাড়গ্রামে চারে ৪-এর বার্তা কুণালের

Date:

Share post:

এবার আড়াইশোরও বেশি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসবেন তৃণমূল  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামে চারটি আসনেই জিতবে তৃণমূল। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে (Jhargram) বিজয়া সম্মিলনী থেকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, এবার বাংলায় শুধু একটাই পরিবর্তন হবে, সেটা বিরোধী দলনেতা পদের। বিরোধী দলনেতা পদটা পেতে গেলে যতজন বিধায়ক লাগে, বিজেপি সেই আসন পাবে না। 

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিন্তু বিরোধী দলনেতা বলে কেউ থাকবেন না।
বাংলার ব্লকে ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস দিকে দিকে বিজয়ার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। জনসংযোগ গড়ে তুলছে। ঝাড়গ্রাম এমনই এক অনুষ্ঠান থেকে কুণাল বলেন, বিজেপি শুধু ধর্মের রাজনীতি করে, ভেদাভেদ করে। এই বিজেপি ও বিজেপির (BJP) দালাল সিপিএমকে (CPIM) ঝাড়গ্রামের মাটিতে পা রাখতে দেবেন না। ঝাড়গ্রামের মানুষ এক ইঞ্চি জমিও বিরোধীদের জন্য দেবে না। বিধানসভায় চারে চার হবে। বিজেপিকে দেখলে বাংলার মানুষ এখন ক্ষেপে যাচ্ছেন। তাঁরা জানেন, বিজেপি ভিনরাজ্যে গিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বললে বাঙালিদের মারধর করছে। আমরা এই মারধর-অশান্তিকে সমর্থন করি না। মনে রাখবেন, বিজেপি বাংলার বন্ধু নয়, এরা ভাতে মারতে চায় টাকা বন্ধ করে। বাংলাকে পদে পদে অপমান করে। তাই এবার বিজেপিকে ভরপুর জবাব দিন। এবার ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে, দিল্লি থেকে সব এসে হাজির হবে বাংলায়। কারণ ভোট আসছে। এবার এই ভোটপাখিদের বিদায় দিন। 

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের কথায়, পুজোয় যেমন ধর্মের ভাব থাকবে, তেমনি একটা অর্থনীতিও থাকবে। যাতে এর থেকে বহু মানুষের রোজগার হয়। ঝাড়গ্রাম জেলা কত উন্নত হয়েছে। সিপিএমের আমলে অনুন্নয়ন, খাবারের অভাব, আলোর অভাব, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা ছিল। দারিদ্রতা থেকে বাঁচতে মানুষ অন্য পথে চলে যেতেন। আবার ঝাড়গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এজন্য যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা দেব, ঠিক তেমনি আপনারা যারা এই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে সহযোগিতা করেছেন তাঁদেরকেও ধন্যবাদ দেব।
তাঁর কথায়, জঙ্গলমহলে যেমন হাতি ঢুকে প্রায়শই ধান নষ্ট করে, তেমনি বিজেপি এখানে এসে শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট করবে। তাই যেখানে বিজেপিকে দেখবেন, তাড়িয়ে দেবেন। রাজ্যে বিজেপির কোনও জায়গা নেই। এরা আমাদের ট্যাক্স নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের টাকা দিচ্ছে না। বাংলার এক কোটি ৯০ লক্ষ টাকা কোথায়? আজও শ্বেতপত্র প্রকাশ করেনি কেন্দ্র। এরা অন্য রাজ্যকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাহায্য করে, কিন্তু বাংলাকে একটাও টাকা দেয় না। বাংলার টাকা আটকে রাখছে, আবার বিজেপি কৌটো দিয়ে ছবি তুলছে‌ বাংলার মানুষ এসব বরদাস্ত করবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ঝাড়গ্রামকে একটা আলাদা ঐতিহ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক মানুষদের উন্নয়ন হচ্ছে। পুজোয় অনুদান দিয়ে বিকল্প অর্থনীতির দিশা দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

 

spot_img

Related articles

রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে লক্ষ টাকা দান অভিষেকের, সকলে এগিয়ে আসার আর্জি

প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশেষ ত্রাণ তহবিল গঠন করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা (WBSDMA) তহবিলে দানের জন্য আবেদন...

হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ ছাড়া প্রবেশ নিষেধ: নিরাপত্তা নিয়ে কড়া বার্তা হাইকোর্টের

রাজ্যে নারী নিগ্রহের ঘটনা ঘটলে তা নিয়ে প্রতিটি ঘটনাতেই রাজ্য পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ায়...

ইন্ডিগোর বিমানের ইঞ্জিনে পাখির ধাক্কা! আগরতলায় জরুরি অবতরণ

ফের মাঝ আকাশে বিমানে বিপত্তি। ত্রিপুরার আগরতলা (Agartala In Tripura) থেকে কলকাতাগামী (Kolkata) ইন্ডিগোর একটি যাত্রীবাহী বিমান উড়ানের...

দুর্গাপুরে যৌন নিগ্রহকারী একজন! সঙ্গীর ভূমিকায় সন্দেহে সংগ্রহ হল পোশাক

শনিবার অভিযোগ দায়েরর পর থেকেই আটক দুর্গাপুরের নির্যাতিতা ছাত্রীর সঙ্গী। মঙ্গলবার দিনভর তাকে নিয়ে ঘটনার পুণর্নির্মাণ (reconstruction) পুলিশের।...