সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ। তারপরেও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যের আসন ফাঁকাই রয়ে গিয়েছে। রাজ্য ও রাজ্যপালের ঐক্যমতের অভাবে ফের একবার হস্তক্ষেপ করতে হল শীর্ষ আদালতকে। রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত উপাচার্য (Vice-chancelllor) নিয়োগ করতে হবে, আলোচনার মাধ্যমেই মেটাতে হবে সমস্যা- আরও একবার আচার্য (Chancellor) তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) প্রতিনিধি আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারলকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)৷

শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের (State Universities) মধ্যে ছয়টিতে উপাচার্য নিয়োগের জটিলতা কাটে। শেষে যে চারটিতে জটিলতা ছিল তার মধ্যে দুটিতেও সম্মতি জানান আচার্য্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অচলাবস্থা এখনও বর্তমান। বুধবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চের সামনে এই মামলাটির মেনশনিং করেন রাজ্য সরকারের (state government) আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত৷ একইসঙ্গে তিনি জানান, ১৩ অক্টোবর দিল্লিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের (AG) বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা৷ ওই বৈঠকে কোনও ঐকমত হয়নি৷

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ‘সবুজ আতশবাজি’ পোড়ানোয় সবুজ সংকেত সুপ্রিম কোর্টের

এর আগে শুনানিতে আচার্য্যর প্রতিনিধি রাজ্যকে জানাননি কেন রাজ্যের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করছেন, মেনশনিং-র মাধ্যমে শীর্ষ আদালতে সাফ জানিয়ে দেন বর্ষীয়ান আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত৷ তাঁর এই সওয়াল শুনে বিচারপতি সূর্যকান্ত জানিয়ে দেন, দু পক্ষকেই তাদের আপত্তির (ovjection) কারণ লিখিত ভাবে হলফনামা (affidavit) সহযোগে জানাতে হবে আদালতকে৷ দিওয়ালির ছুটির পরে ১০ নভেম্বর হবে এই মামলার বিস্তারিত শুনানি- নির্দেশ দেন বিচারপতি সূর্যকান্ত৷

–

–

–

–

–

–


