দুর্গাপুজোর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীপুজোর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাহলে কি শীঘ্রই ঘরওয়াপসি কাননের! এই এই নিয়েই জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলের। আচমকা পাহাড়ে গিয়ে বুধবার, প্রায় ২ ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একান্তে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)।

উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর ত্রাণ-উদ্ধার কাজ সরেজমিনে দেখতে দ্বিতীয় দফায় রবিবার থেকে পাহাড়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই ফিরছেন তিনি। তার আগে বুধবার, দুপুরে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে পাহাড়ে উড়ে যান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সূত্রে খবর, বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে রিচমন্ড হিলে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে একাই দেখা করেন শোভন। সেখানে ঘণ্টা দুয়েক তাঁদের মধ্যে একান্তে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, ব্যক্তিগত আলাপচারিতার পাশাপাশি, রাজনীতি নিয়ে কথা হয়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে চান বলেও না কি জানিয়েছেন একসময়ের মমতার স্নেহভাজন কানন। তবে, কী বিষয় তৃণমূল সভানেত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তা নিয়ে সরাসরি সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলেননি শোভন-বৈশাখী।
আরও খবর: দীপাবলির ধামাকা! আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা: কুৎসাকারীদের জবাব দিতে অভিষেকের ডিজিটাল আন্দোলন

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বরে দুর্গাপুজোর চতুর্থীর দুপুরে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে (Baisakhi Banerjee) কালীঘাটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসে হাজির হন শোভন। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক আলোচনা হয় অভিষেকের সঙ্গে। সেই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের তরফে কিছু জানানো না হলেও, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, যে দীর্ঘ সাক্ষাৎ হয়েছে, তাতে আমি মুগ্ধ। রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেখানেও শোভন জানান, ওর সঙ্গে কথা বলে সমৃদ্ধ হয়েছেন। দলের কাজে আগ্রহী তিনি। অভিষেককে বলেন, বয়স কোনও সমস্যার কারণ হবে না। দল যখন যেভাবে কাজে লাগাবে, সেই কাজ করতে তিনি আগ্রহী।

এবার কি তবে তৃণমূলে ফেরা শুধু সময়ের অপেক্ষা?
তখনই শোভন জানিয়ে ছিলেন, “আমার তৃণমূলে ফেরার বিষয়ে মমতাদি আর অভিষেক মিলিত সিদ্ধান্ত নেবেন।“ সেই সিদ্ধান্ত কী ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে? দীপাবলির আলোয় প্রকাশ পাবে? রাজনৈতিক মহলের মতে, শোভনের ‘ঘর ওয়াপসি’-র ঘোষণা এখন সময়ের অপেক্ষা।

–

–

–

–

–

–