ভোটের আগে ফের সক্রিয় হয়ে উঠল বিজেপি। সাংগঠনিকভাবে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন— এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর লক্ষ্যপূরণকে কেন্দ্র করে নতুন কৌশল নিয়েছে বিজেপি। এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই যত বেশি সম্ভব উদ্বাস্তু নাগরিককে সিএএ-র আওতায় এনে আবেদন করানোই বিজেপির লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই বুধবার সল্টলেকে রাজ্য বিজেপির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি.এল. সন্তোষ। বৈঠকে তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন, সীমান্তবর্তী এবং মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় সিএএ ক্যাম্প ও প্রচার বাড়াতে হবে। প্রতিটি মণ্ডল স্তরে দলীয় কর্মীদের সক্রিয় করে ক্যাম্প আয়োজন, আবেদন প্রক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য ৪-৫ জনের দল গঠন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিয়মিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর জানা গিয়েছে, আগামী তিন মাস সিএএ-কে কেন্দ্র করেই রাজ্যে তৎপর থাকবে বিজেপি। ৭০০-রও বেশি ক্যাম্প করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। উদ্বাস্তুপ্রধান এলাকায় বিশেষ জোর দেওয়ার পাশাপাশি, স্থানীয় প্রতিরোধের ঘটনাগুলির বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাতে বলা হয়েছে।

এদিনের বৈঠকে বি.এল. সন্তোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অমিত মালব্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, জগন্নাথ সরকার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অসীম সরকার, অসীম বিশ্বাস, পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, আশিস কুমার বিশ্বাস, বঙ্কিম ঘোষ, সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনিয়া ও স্বপন মজুমদার-সহ একাধিক সাংসদ ও বিধায়ক।

অন্যদিকে, বিজেপির এই উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “ভোটের আগে মানুষকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করছে।” তাঁর দাবি, “উন্নয়ন, ১০০ দিনের কাজ, আবাসের টাকা— এসবের জবাব দিতে পারছে না ওরা, তাই সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”

আরও পড়ুন- অতি উৎসাহীরা দিয়েছে পোস্টার! প্রশাসক শোভনকে এগিয়ে রেখে মন্তব্য রত্নার

_

_

_

_
_