পাঞ্জাব পুলিশের প্রাক্তন ডিজিপি (Punjab police DGP) মহাম্মদ মুস্তাফার ছেলে আকিল আখতারের মৃত্যু ঘিরে পাঞ্জাবের চরম চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই তদন্তে নয়া মোড় এবার মুখ খুললেন স্বয়ং মুস্তাফা নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, “আমার ছেলে অসুস্থ ছিল। আমার নাতি নিজের চোখে দেখেছে তার মাকে নির্যাতন করা হচ্ছে।”

ঘটনার সূত্রপাত ১৬ অক্টোবর। হরিয়ানার পঞ্চকুলায় নিজের বাড়িতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় আকিলকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিল মাদকাসক্তি বা ওভারডোজের ফলেই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু শামসুদ্দিন চৌধুরী নামের এক প্রতিবেশী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে পঞ্চকুলা পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই ভাইরাল হয় আকিলের বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ভিডিও। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায় ‘আমার স্ত্রীর সাথে বাবার সম্পর্ক আছে’। এরপর পঞ্জাব পুলিশ সিট গঠন করে তদন্তে নামে। ২০ শে অক্টোবর আকিলের বাবা ও মা তথা পঞ্জাবের প্রাক্তন ডিজিপি মহাম্মদ মোস্তফা ও প্রাক্তন মন্ত্রী রাজিয়া সুলতানা এবং তাঁদের মেয়ে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। আরো পড়ুন: প্রতিমা বিসর্জনে গিয়ে নিখোঁজ, ভাইফোঁটার সকালে মিলল যুবকের দেহ

বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন আকিলের বাবা। তিনি জানান, “অভিযোগকারী শামসুদ্দিন তাদের আত্মীয় বা প্রতিবেশী কেবি নন তাদের বাড়িতে কোনদিনই আসেনি শামসুদ্দিন। শামসুদ্দিন কোটি কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। আমার চাকরি থাকাকালীন সে একবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে চাইছে সে। আমার ছেলে বিগত ১৮ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। আমার নাতির সামনে তার মায়ের উপর অত্যাচার করত সে।” পুত্রবধূর সঙ্গে সম্পর্কের কথা সর্বৈব মিথ্যে বলে জানান প্রাক্তন আমলা।

এই এফআইআর দায়ের আসলে কয়েকজনের ‘নোংরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত’ বলে স্বামীর সুরে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী তথা মৃতের মা রাজিয়া সুলতানা৷ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে পরিবারের এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার সুযোগ নিতে চাইছে তারা৷ এসব সত্ত্বেও আইন ও বিচার ব্যবস্থায় ভরসা আছে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ তাঁর বিশ্বাস, সত্যি উদঘাটিত হবেই৷

–

–

–

–

–

–