দিন দশেক আগে আলমারির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল আর জি কর কাণ্ডে (R G Kar rape incident) দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের ভাগ্নির দেহ। যদিও এই রহস্যমৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে অভিযোগ উঠেছিল নাবালিকার বাবা ও সৎমা মিলে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছিল দেহ। পাড়া-প্রতিবেশিরা বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। এবার মৃত নাবালিকার ঠাকুরমা প্রতিমা সিংহ নিজের ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করলেন।
কালীপুজোর রাতে আলিপুর থানার বিদ্যাসাগর কলোনি এলাকার বাড়ি থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বছর দশকের ওই কিশোরী আর জি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের ভাগ্নি। সঞ্জয়ের বড়দি ববিতা রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ভোলা সিংহের। বছরখানেক আগে ববিতা আত্মহত্যার পর মেয়ে সঞ্জনা বাবার কাছে থেকে যায়। এরপর ভোলা ববিতার বোন পূজাকে বিয়ে করেন। সেই মাসি হয়ে ওঠেন সঞ্জনার সৎমা। অভিযোগ, এরপরেই নাকি শুরু হয় অত্যাচার। কিশোরীর দেহ উদ্ধারের পর এলাকাবাসীরা দাবি করেন , বাবা ও সৎমা মিলে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিগ্রহ করতেন ওই কিশোরীকে। পরে অবশ্য ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছে। একই দাবি করছেন মৃত কিশোরীর বাবা-সৎমাও। আরও পড়ুন : কাচ ভাঙার বদলা! বাইকআরোহীকে পিষে মারল দম্পতি
কিন্তু এবার সঞ্জনার ঠাকুরমা নিজের ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, ছেলে-বৌমা মিলে খুন করেছেন তাঁর নাতনিকে। এর আগেও কিশোরীর ঠাকুমা দাবি করেছিলেন, নাতনি প্রায়ই লুকিয়ে তাঁর কাছে এসে জানাত, বাবা ও সৎমা মিলে তাকে মারধর করে। এমনকি, তাঁর ঘরে ঢোকার অনুমতিও ছিল না নাতনির। ছোট ছোট কারণে শাসনের নামে বেধড়ক মারধর করা হত তাকে। ফলে নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশের তদন্তকারী দল।
–
–
–
–
–
–
–