Wednesday, December 17, 2025

সীমান্তে বেড়া নিয়ে বিজেপির বিশ্বাসঘাতকতা! জগন্নাথের সাসপেনশন দাবি অভিষেকের

Date:

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষায় নাকি বাংলার প্রশাসনই বাধা। একের পর এক জনসভা থেকে বারবার দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অথচ তাঁরই দলের সাংসদ দাবি করছেন, ক্ষমতায় এলে বিজেপি কাঁটাতার তুলে দেবে। এত বড় বক্তব্যের পরেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেই বিজেপির তরফ থেকে। তবে কি জগন্নাথ সরকারের (Jagannath Sarkar) এই বক্তব্য শীর্ষ নেতৃত্বের সহমতিতেই? তা যদি না হয় তবে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হোক সাংসদ জগন্নাথকে, দাবি তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)।

বাংলাকে বদনাম করা এবং বাঙালিদের মনে বাংলার প্রশাসন সম্পর্কে মিথ্যে ধারণা ঢুকিয়ে দিতে বারবার সীমান্ত নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রচার অমিত শাহ এবং বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। এবার তাঁদেরই দলের সাংসদের বক্তব্যে প্রকাশ্যে চলে এলো বিজেপির বাস্তব মনোভাব। সীমান্ত নিয়ে বিজেপির দ্বিচারিতাকে তুলোধোনা করে অভিষেকের দাবি, আরও একধাপ নেমে গেল বিজেপির ভন্ডামি। রানাঘাটের (Ranaghat) বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার দাবি করছেন তাঁরা ক্ষমতায় এলে দুই দেশের মধ্যে কোনও বেড়া (barb fencing) থাকবে না, দুই দেশ এক হয়ে যাবে!

সেখানেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে অভিষেকের তোপ, অন্যদিকে এই একই বিজেপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ (Amit Shah) বিজেপির সরকার বাংলাকে দোষ দিচ্ছে সেই সীমান্ত (Indo-Bangla border) রক্ষার জন্য জমি না দেওয়ার জন্য, যে সীমান্ত বিজেপির সাংসদই তুলে দিতে চাইছেন।

কেন্দ্রের বিজেপির নেতারা তথা নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নিজে গোটা দেশে জাতীয়তাবাদী প্রচারে ব্যস্ত। অথচ দেশের সীমান্তে কাঁটাতার তুলে দেওয়ার মত কথা বলছেন তাঁদেরই দলের সাংসদ। সেখানেই অভিষেকের দাবি, বিজেপি যদি সত্যিই দেশের অখণ্ডতাকে রক্ষা করতে চায় তবে আমি চ্যালেঞ্জ করছি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda) জগন্নাথ সরকারকে সাসপেন্ড করুন। এরপরেও তাঁরা যদি চুপ করে থাকেন তবে প্রমাণিত হবে সাংসদ সরকার যা বলেছেন সবটাই শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে।

আরও পড়ুন: সীমান্তে কাঁটাতার থাকবে না! বিজেপি সাংসদের বার্তায় ‘দ্বিচারিতা’ তোপ তৃণমূলের

সেই সঙ্গে জগন্নাথ সরকারের নদিয়ায় দাঁড়িয়ে করা বক্তব্য তুলে বিজেপির মুখোশ খুলে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, এটা কে জাতীয়তাবাদ বলে না, এটা প্রতারণা। এসআইআর-এর নামে বাংলার মানুষকে বোকা বানানো এবং অপমান করা বিজেপির ট্রেডমার্ক রাজনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে – যা এক চূড়ান্ত ভন্ডামি এবং বিশ্বাসঘাতকতার সংমিশ্রণ।

Related articles

জল শক্তির টাকাই ‘রেডি নেই’ কেন্দ্রের! তৃণমূল প্রতিনিধিদের জানালেন ‘নিরুপায়’ মন্ত্রী

একের পর এক বিলে অনুমোদন। একের পর এক প্রকল্পের নামে গোটা দেশকে ঠকানো। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই...

অপূর্ব অভিজ্ঞতা: মেসির ভারত-ভিডিও-তে জায়গা কলকাতারও, নেই কোনও রাজনীতিক

অসমাপ্ত কনসার্ট। মাঠে আয়োজকদের চূড়ান্ত অব্যবস্থা। মাঠে ঢুকে তাণ্ডব দর্শকদের। এরপরেও লিওনেল মেসির ভারত সফরের উচ্ছ্বাসের ভিডিও-তে জায়গা...

CAA-তে কতজনকে নাগরিকত্ব? বিদ্বেষী বিজেপিকে তালিকা প্রকাশের চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

নির্বাচন কমিশনের এসআইআর প্রক্রিয়া কোনওভাবেই নাগরিকত্বের সঙ্গে যুক্ত নয়। বারবার জোর গলায় বিজেপি নেতারা এই কথাই বলেছেন। অথচ...

পারদ চড়ার পূর্বাভাস, হিমেল হাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ফের উপদ্রব পশ্চিমী ঝঞ্ঝার। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস (forecast) দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতা...
Exit mobile version