চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পাশে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen)। এই কর্মীদের ক্ষেত্রে শ্রম আইন যথাযথ প্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব মূল নিয়োগদাতাকে নিতে হবে এই দাবি তোলার পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীদেরও শ্রম আইনের অধীনে আনার কথা বললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। বৃহস্পতিবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে( Biswabangla Convention Centre) ‘জিইএম পোর্টালের মাধ্যমে সরকারি কেনাকাটায় দেশের আইনের সঙ্গে সম্মতি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ-তথা-সচেতনা সভা আয়োজিত হল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen)। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে তৈরি হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের এই ‘জেম’ পোর্টাল। কিন্তু ২০১৮-১৯ সাল নাগাদও সাধারণ মানুষ কিংবা ট্রেড ইউনিয়নের শ্রমিকরা (Trade Union Workers)এর ব্যাপারে তেমন কিছু জানতেন না। কয়েকবছর পর কেন্দ্রীয় সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাই অভিযোগ তোলেন, ঠিকাদার ও প্রধান চাকরিদাতারা দাবি করেছেন যেহেতু এখন ‘জেম’ (GEM) পোর্টালের মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাই সেখানে কোথাও লেখা নেই যে শ্রমআইন বাধ্যতামূলক! এর জেরে চাকরি হারানো থেকে শুরু করে ন্যূনতম মজুরি, পিএফ, ইএসআই, বোনাস, ছুটি-সহ শ্রমআইনের মূল বিষয়গুলোই মানা হচ্ছিল না। তাই আমার মতে, দুটো বিষয় ‘জিইএম’ পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

কেন্দ্রীয় সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস (GEM)-এর আলোচনা সভায় দোলা আরও বলেন, বামপন্থীদের মতো আমি চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ বাতিলের জন্য আইন আনার পক্ষপাতী নই। কারণ, ৩২ বছর ধরে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে জানি বর্তমানে সারা বিশ্বেই শিল্পায়নের অবস্থা ভাল নয়। তাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এখন বিশ্বজুড়ে খুবই প্রয়োজনীয়। তাই বাস্তববাদী হয়ে বলছি, ‘জেম’ পোর্টালে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের জন্যও শ্রমআইন বাধ্যতামূলক করতে হবে। একইসঙ্গে সেই আইন ঠিকঠাকভাবে মানা হচ্ছে কি না, তার দায়িত্ব নিতে হবে প্রধান চাকরিদাতাদের। এটা কোনও অতিরিক্ত দাবি নয়, এটা আমাদের কর্তব্য।

–

–

–

–

–

–

–

–
–

