রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও বিশিষ্ট নাট্যকার ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) হাতে রবিবার প্রকাশিত হলো নাগরিকত্ব, দেশভাগ ও সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে লেখা বই ‘আমি কি নাগরিক?’। যেটি লিখেছেন গবেষক মানিক ফকির, আর প্রকাশ করেছে কলকাতা প্রকাশন। রবিবার এই অনুষ্ঠানে ব্রাত্য বসু জানান, “মানিক খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন বিজেপি ঠিক কি করতে চাইছেন। তার হাতে কলমে প্রমাণ এই নামগুলোএ কেউ কড়িকাঠে ঝুলছেন, কেউ কীটনাশক খেয়ে মরছেন এবং সেই মৃত্যুর তালিকা ধীরে ধীরে আরও বাড়তে থাকবে। প্রতিতি নাম হিন্দু নাম, প্রতিটি নাম অনগ্রসর বর্গের। তাহলে বিজেপি ২০২০ সালে আইন সংশোধনের মাধ্যমে যে কথাটা বারবার করে বলছিল যে হিন্দু মানেই শরণার্থী আর মুসলমান মানেই অনুপ্রবেশকারী। NRC ও SIR একই কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ। তাহলে যারা আত্মহত্যা করছেন তাঁরা তাহলে শরণার্থী নয়? এই বিষয়গুলি মানিক তুলে ধরেছেন।”
তিনি আরও বলেন, লেখক মানিক ফকির দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, নাগরিকত্ব বিষয়টা বুঝতে গেলে বুঝতে হবে, দেশভাগের নামে বাংলাভাগের ইতিহাস, তৎকালীন সময়ের কমিউনিস্টদের ভূমিকা, আরএসএসের আদর্শ ও নীতি, স্বাধীন ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫ এর (খ), অনুচ্ছেদ ৬, পাসপোর্ট অ্যাক্ট, ফরেনারস অ্যাক্ট, মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
তিনি আরো লিখেছেন, নাগরিকত্বের গোটা বিষয়টা না জানার কারণে বাঙালি জাতি এক প্রকার ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন দ্রুত। কারণ আগামী ২০২৮ সালে সারা দেশে শুরু হবে ডি লিমিটেশন। তাতে বাংলার সাংসদ সংখ্যা অর্ধেকের কাছাকাছি নেমে আসার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে ভারতবর্ষে বাংলা ও বাঙালি জাতির অধিকার সংকোচিত হবে সাংঘাতিক ভাবে। সমাজের একটি দায়িত্বশীল প্রকাশক হিসাবে আমরা মনে করি, বহু সরকারি ডকুমেন্ট সমৃদ্ধ মানিকের এই গ্রন্থটি প্রতিটি বাঙালীর পড়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আরও পড়ুন : বেঙ্গালুরুতে সিগন্যাল ভেঙে ছুটল অ্যাম্বুল্যান্স, মৃত ২
রবিবার প্রেস ক্লাবে বই উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিধায়ক-সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। কলকাতা প্রকাশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক প্রিয়ংবদা দেবী, সঙ্গে প্রকাশন সংস্থার পৃষ্ঠপোষক সুজয় মন্ডল, অধ্যাপক সৈকত ভট্টাচার্য, রবীন্দ্র নারায়ণ তালুকদার।
–
–
–
–
–
–
–
