ভারী বৃষ্টিতে ফের বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতল। শনিবার রাতের বৃষ্টিতে কালিম্পং জেলায় একাধিক স্থানে ধস নামে। বন্ধ হয়ে যায় সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম পথ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সকাল থেকে শুরু হয় ধস সরানোর কাজ, তবে যান চলাচল আংশিকভাবে ব্যাহত থাকে দীর্ঘক্ষণ। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নত না হওয়া পর্যন্ত বিপজ্জনক এলাকাগুলিতে সতর্কতা বজায় থাকবে।

এদিকে, টানা খারাপ আবহাওয়ার কারণে দার্জিলিংয়ের ম্যালে কয়েক দিন বন্ধ ছিল সরস মেলা। ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর স্থগিত ছিল মেলার সমস্ত অনুষ্ঠান। তবে ২ নভেম্বর, রবিবার সকালে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতেই ফের জমে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। ছুটির দিনে স্থানীয়দের সঙ্গে পর্যটকদেরও ভিড় দেখা যায়। কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষজন, চায়ের কাপে গল্প আর পাহাড়ি হাওয়া — ফের প্রাণ ফিরে পায় দার্জিলিংয়ের ম্যালে। মেলা ফের চালু হওয়ায় হাসি ফুটেছে দোকানদারদের মুখেও।

পাহাড়ের একদিকে যখন বৃষ্টি ও ধসের ভয়, ঠিক তখনই হিমালয়ের কোলে সিকিমে নেমে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। শনিবার রাত থেকেই পূর্ব সিকিমের নাথু লা ও ছাঙ্গু (চোমগো) হ্রদ এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত। সকালে ঘুম ভেঙে স্থানীয়রা দেখেছেন রূপকথার মতো দৃশ্য — চারপাশ জুড়ে সাদা বরফের চাদর। পর্যটকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তুঙ্গে, বহু মানুষ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন বরফ উপভোগ করতে। উত্তর সিকিমের লাচুংয়েও নেমেছে হালকা বরফ। ফলে সিকিমে কার্যত শীতের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তুষারপাতের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকায় যান চলাচল কিছুটা সীমিত রাখা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে।

আরও পড়ুন – শুভেন্দুর স্বাস্থ্য শিবিরে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা! নিরপেক্ষতা কোথায়? প্রশ্ন তৃণমূলের

_

_

_

_

_

_
_


