হরিয়ানার প্রকাশ্য রাস্তায় নৃশংস ভাবে প্রাক্তন ক্রিকেটার ও কোচ(Haryana cricket coach )রামকরণকে (Ramkaran) গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সন্ধ্যাবেলায় চূড়ান্ত ব্যস্ত রাস্তায় ভিড়ের মাঝে হঠাৎ এই হামলার ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ।

ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক যোগ থাকতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।সূত্রের খবর, সোমবার পরিবারের সঙ্গে একটি বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও ক্রিকেট কোচ রামকরণ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্রবধূ। গানৌরের সাব-ডিভিশনাল হাসপাতালের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ দুঃসাহসিক এই হামলা হয় তাঁর ওপর।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে, ভিড় রাস্তার সুযোগ বুঝেই হামলাকারীরা একটি গাড়িতে করে এসে রামকরণের গাড়ি থামিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে রামকরণ রক্তাক্ত অবস্থায় ওখানেই লুটিয়ে পড়ে আর সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন ক্রিকেটারকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ক্রিকেটারের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গণৌর পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে এবং যেকোনরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোনিপত পুর পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন রামকরণ। রামকরণের পুত্রবধূ এখন গানৌরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা। রামকরণের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সুনীল নামের এক ব্যক্তি যিনি একসময়ে পুর পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। রামকরণের বিরোধী দলে ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে পুর নির্বাচনে নিহত প্রাক্তন ক্রিকেটারের পুত্রবধূ সোনিয়া সুনীলের স্ত্রীকে পরাজিত করে কাউন্সিলার হন। দুই পরিবারের মধ্যে এরপর থেকেই বিরোধ তুঙ্গে।

স্বাভাবিকভাবেই এই হামলার ঘটনায় সুনীলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তাঁর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এভাবে ভর সন্ধ্যাবেলায় হামলার ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলার পর ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। গুলি চালানোর পরপরই সোনিপত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতাল এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ফরেনসিক দল প্রমাণ এবং চারপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে।

–

–

–

–


