পথিকৃত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বিভিন্ন ভাবে দিচ্ছে দেশের অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের সরকার। তার মধ্যে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সমালোচনা করা বিজেপির (BJP) শাসিত রাজ্যেও আছে। এই মাসেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly Election)। সেখানে প্রচারে সেই মমতার দেখানো পথে মহিলা ক্ষমতায়নের কথা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে আরজেডি (RJD) নেতা তথা বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মুখ তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav) জানান, তাঁরা ক্ষমতায় এলে মহিলাদের বছরে ৩০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দেবেন। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মই বহিন যোজনা’। লালুপুত্রের প্রতিশ্রুতি, আগামী বছর মকরসংক্রান্তির দিন ওই আর্থিক সাহায্য উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
বৃহস্পতিবার বিহারে প্রথম দফার নির্বাচন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ১১ নভেম্বর। ভোটগণনা ১৪ নভেম্বর। ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই মূলত এনডিএ ও আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের জোট মহাগঠবন্ধনের মধ্যে। প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টিও এবার লড়াইয়ে আছে। বিহারে ভোটের সমীকরণ অনুযায়ী, গত প্রায় দু’দশক ধরে নীতীশের দল জেডিইউ-র সঙ্গে রয়েছে মহিলা ভোট। সেই ভোট ধরে রাখতে বার বার আরজেডি আমলের ‘জঙ্গলরাজ’-এর প্রসঙ্গ তুলছেন এনডিএ-র নেতারা। এ বার নিজেদের পালে মহিলা ভোটের হাওয়া টানতে এই আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন তেজস্বী।
মহিলা ভোটকে টার্গেট করে ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা’ চালু করেছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) নেতৃত্বাধীন বিহারের NDA সরকার। এই প্রকল্পের অধীন ১ কোটি মহিলাকে নিজেদের ব্যবসা শুরুর জন্য অর্থসাহায্য করা হয়। এদিন তেজস্বী (Tejaswi Yadav) ঘোষণা করেন, মহিলাদের বছরে ৩০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দেবেন। শুধু তাই নয়, ধানচাষীদের কুইন্টাল পিছু ধানের জন্য ৩০০ টাকা এবং গমচাষীদের কুইন্টাল পিছু গমের জন্য ৪০০ টাকা ন্যায্য সহায়ক মূল্য দেওয়া হবে।
–
–
–
–
–
–
–
