সোনা চুরির অভিযোগ। তার জেরে বাড়ি গিয়ে হুমকি দিলেন বিডিও। তারপর অপহরণ। শেষে অপহৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর (gold businessman) দেহ উদ্ধার হল নিউটাউনের (New Town) দত্তাবাদ থেকে। এই ঘটনায় অপহরণে অভিযুক্ত বিডিও-কেই (BDO) খুনে অভিযুক্ত বলে দাবি মৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পরিবারের। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য নিউটাউন ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে।
দাঁতনের বাসিন্দা স্বপন কামিল্যার সোনার দোকান রয়েছে নিউটাউনের দত্তাবাদে। সেই সূত্রে তিনি নিউটাউনের যাত্রাগাছিতে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বাড়ির মালিক গোবিন্দ বাগ দাবি করেন, কিছুদিন আগে তাঁর বাড়িতে আসেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের (Rajganj) বিডিও প্রশান্ত বর্মন। তখন স্বপন কামিল্যা নিজের দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বিডিও দাবি করেন, তাঁর বাড়ি থেকে সোনা চুরি হয়েছিল। সেই সোনা পাওয়া গিয়েছে স্বপন কামিল্যার দোকানে।
এই অভিযোগ করে বিডিও চলে যাওয়ার পরে স্বপন ফিরে আসেন দত্তাবাদে (Duttabad)। তখন গোবিন্দ বাগ তাঁকে বিডিও-র তোলা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করেন। স্বপন কামিল্যা স্বীকার করেছিলেন চোরাই সোনার বিষয়টি। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন বিডিও-র সঙ্গে তাঁর এই বিষয়ে একটি রফাও হয়েছে, এমনটাই দাবি গোবিন্দ বাগের।
এরপরই ঘটনার পট পরিবর্তন। বিডিও প্রশান্ত বর্মন সটান হাজির গোবিন্দ বাগের বাড়ি। সেখানে এসে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তুলে নিয়ে যান স্বপন ও গোবিন্দকে। তবে তাঁদের দুজনকে দুটি আলাদা গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ি থেকে পাওয়া ভিডিও ও গোবিন্দর বয়ানে এমনটাই পাওয়া যায়। যদিও বিডিও প্রশান্ত বর্মনের মেগাসিটির নিকটবর্তী বাড়ির কাছে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় গোবিন্দ বাগকে। কিন্তু ঘরের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয় স্বপনকে।
আরও পড়ুন: ফের ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যে রেললাইনে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত দেহ!
গোটা বিষয়টি শুনতে সিনেমার মতো হলেও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে এরপরে। ২৮ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ স্বপনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় দত্তাবাদের (Duttabad) যাত্রাগাছি এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ বিডিও (BDO) অপহরণ (abduction) করে নিয়ে যাওয়ার পর খুন করে ফেলে দিয়ে যান। একই অভিযোগ বাড়ির মালিক গোবিন্দ বাগেরও। যদিও চাপের মুখে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলছেন, তাঁর না কি কোনও বাড়িই নেই। ঘটনায় স্বপন কামিল্যার পরিবার বিধাননগর দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এখনও কেউ এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি।
–
–
–
–
